মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, কাপ্তাই লেক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম লেক। এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা। বর্তমানে মৎস্য উৎপাদনে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রযুক্তিগত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মধ্যদিয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
মন্ত্রী রোববার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে কাপ্তাই লেকে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কৌশল শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য চাষে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ চতুর্থ স্থান দখল করেছে। আমাদের নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি করার জন্য আরো বেশি পরিমাণে মিঠা পানির মাছ চাষ করতে হবে। কাপ্তাই লেকে মাছ চাষের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে এবং মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং বলেন, আমাদের দেশে যেকোন বিষয় গবেষণা কর্মীর অভাব রয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশি বেশি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু পড়াবে তা নয়, এরা গবেষণা করবে। কাপ্তাই লেকের চেয়ে সিঙ্গাপুর অনেক ছোট দেশ। তত্ত্বাবধানের কারণে অনেক উন্নত। যুগোপযোগি গবেষণা চালিয়ে আমরাও কাংক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে পারবো। চাষ উপযোগি করার জন্য লেকের সীমানা নির্ধারণ, ড্রেজিংসহ দায়িত্বশীল লোক নিয়োগ দেয়ার মত প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলেদের জন্য পূর্বে বাস্তবায়নকৃত ক্রিক প্রজেক্টটি দীর্ঘমেয়াদি করা প্রয়োজন। স্থানীয় জেলে যারা নুন আনতে পান্তা ফুরায় এদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা রাখলে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা পড়বে না। এধরণের কর্মশালা মৎস্য সম্পদের সাথে জড়িত এবং লেক এলাকায় আয়োজন করা যুক্তিযুক্ত। তাহলে কাপ্তাই লেকের মৎস্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র আজম নাছির উদ্দীন, মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিব রইছউল আলম মন্ডল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।