ইরাকের রাজধানী বাগদাদে হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতা মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানোর পর ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করেছে। ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগ্যান ওরট্যাগাস বলেছেন, বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলার পেছনে ইরানের ইন্ধন রয়েছে।
তিনি তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে মার্কিন দূতাবাস অবরোধকারী বিক্ষুব্ধ জনতাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেন। ওরট্যাগাস দাবি করেন, ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অবরোধ আরোপ করেছেন তাতে ফল দিতে শুরু করেছে।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরান অ্যাকশন গ্রুপের প্রধান ব্রায়ান হুকও ইরানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা এমন সময় এসব অভিযোগ করলেন যখন ইরাকের সরকারপন্থি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির কয়েকটি ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ২৫ জওয়ান নিহত হওয়ার জের ধরে ক্ষুব্ধ জনতা মার্কিন দূতাবাস অবরোধ করেছিল।
রোববার সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে হাশদ আশ-শাবির কয়েকটি ঘাঁটিতে মার্কিন ড্রোন হামলায় অন্তত ২৫ জওয়ান নিহত হন। ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে দখলদার মার্কিন বাহিনীর এ হামলা মেনে নিতে পারেননি দেশটির জনগণ। তারা মার্কিন হামলায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন করার পর মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে রাজপথে নেমে আসেন এবং মার্কিন দূতাবাস অবরোধ করেন।
ক্ষুব্ধ জনতা মার্কিন পতাকায় আগুন দেয়ার পাশাপাশি দূতাবাসের দেয়ালে হাশদ আশ-শাবির পতাকা টানিয়ে দেন। তারা মার্কিন বিরোধী স্লোগান দেন এবং ইরাক থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করার দাবি জানান। তবে সর্বশেষ পাওয়া খবর হচ্ছে, মার্কিন দূতাবাস অবরোধকারী জনতা হাশদ আশ-শাবির অনুরোধে সাড়া দিয়ে বুধবার রাতে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।-পার্স টুডে।