এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করার ‘অপরাধে’ বাচ্চা কাঠবিড়ালীকে ‘আটক’ করল পুলিশ! কী ভাবছেন ভুল বকছি? এটার মধ্যে কিন্তু একটুও ভুল নেই। তবে এটা ঠিক, যে ঘটনাটা ঘটেছে, তার সঙ্গে পুলিশি ভাষায় ‘অপরাধ’ এবং ‘আটক’ শব্দ দু’টা ঠিক সে অর্থে যায় না।
ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানির কার্লসরুহ শহরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের কাছে আচমকা একটা ফোন আসে। আতঙ্কিত কণ্ঠে এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, ছোট্ট এক কাঠবিড়ালী তাঁকে ধাওয়া করছে। তিনি যতই তার থেকে পিছু ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন, কাঠবিড়ালী তত তাঁর পিছু পিছু আসছে। ফোনে নিজের পরিচয় জানাননি তিনি। তবে সেই মুহূর্তে কোথায় রয়েছেন, তা পুলিশকে জানান।
সেই মতো পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিছু ক্ষণ কাঠবিড়ালীকে ধরার চেষ্টাও করে পুলিশ। ধরতে পারেনি। পুলিশ-কাঠবিড়ালীর সেই ধরপাকড় ড্রামার পরিণতি হয় আচমকাই। ক্লান্ত হয়ে ছোট্ট কাঠবিড়ালী ঘুমিয়ে পড়ে।
তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার ঠাঁই হয়েছে একটি অ্যানিমেল সেন্টারে। নতুন নামকরণও হয়েছে তার— কার্ল-ফ্রেডরিক। ফ্রেডরিককে দত্তক নিয়েছে কার্লসরুহ পুলিশ। তাকে নতুন ম্যাসকট হিসাবে ঘোষণাও করা হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র ক্রিস্টিনা ক্রেঞ্জ জানান, কাঠবিড়ালীটা সম্ভবত কোনও ভাবে মায়ের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে। তার পরই ওই ব্যক্তিকে মায়ের পরিবর্ত হিসাবে ভেবে অনুসরণ করা শুরু করে সে। এটা কাঠবিড়ালীদের ক্ষেত্রে খুব অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।