বাবার শাসন কিংবা খবরদারির মধ্যে আর থাকতে আগ্রহী নন যুক্তরাষ্ট্রের পপ তারকা শিল্পী ও অভিনেত্রী ব্রিটনি স্পিয়ার্স। শুধু তাই নয়, নিজের অর্থসম্পত্তির উপর বাবার খবরদারি থেকে মুক্তি পেতে জনপ্রিয় এই ৩৮ বছরের হলিউড অভিনেত্রী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
২০০৭ সালে স্বামী কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন ব্রিটনি। তখন তার দুই সন্তানকেও তার থেকে সরিয়ে নেওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সেসময় মেয়ের ব্যক্তিগত জীবন ও অর্থসম্পত্তি দেখাশোনার জন্য আইনী তত্বাবধায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন বাবা জেমি স্পিয়ার্স।
ব্রিটনির মানসিক অসুস্থতার কথা বলে গত ১২ বছর ধরে তাকে দেখভালের জন্য আইনি তত্বাবধায়ক নিযুক্ত হয়েছিলেন বাবা জেমি। কিন্তু ব্রিটনি অভিযোগ তুলেছেন, তাকে মানসিক রোগী সাজিয়ে বাবা তার অর্থসম্পদ হস্তগত করেছেন।
এদিকে ব্রিটনির ব্যক্তিগত জীবন ও অর্থসম্পদে তার নিজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ’হ্যাশট্যাগ ফ্রি ব্রিটনি’ আন্দোলন শুরু করেছেন তার ভক্তরা।ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে করা মামলার নথি অনুসারে, ব্রিটনি তার ব্যক্তিগত জীবনে তত্বাবধায়ক হিসেবে বাবা জেমি ফিরে আসার ঘোরতর বিরোধী।
২০০৮ সালে জেমিকন্যা ব্রিটনির তত্বাবধায়ক নিযুক্ত হলেও গত বছর নিজের শারিরীক অসুস্থতার জন্য দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বাবা। তখন ব্রিটনির সবকিছু দেখভালে ম্যানেজার নিযুক্ত হন জোডি মন্টেগোমারি। কিছুদিন ধরে আবার তার বাবা খবরদারি শুরু করেছেন। এরইমধ্যে ব্রিটনির ব্যক্তিগত অর্থসম্পদ নিজের মতো দেখভাল করছেন তিনি। আগামী ২২ আগস্ট জেমির দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর আর তা বাড়তে দিতে চান না ব্রিটনি।
ব্রিটনি আদালতে আবেদনে বলেছেন, নিজের জীবন তিনি নিজেই চালাতে চান। সংগীত-বিনোদনের জগতে নিজের অবস্থান ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। এজন্যই কারো অধীনে যেতে চান না। আদালত যেন তাকে উদ্ধার করে। আর বর্তমান ম্যানেজার জোডি মন্টেগোমারি দায়িত্বে থাকলে তার কোনো অসুবিধা নেই।
সূত: বিবিসি ও গার্ডিয়ান