ডিএমপি নিউজ রিপোর্ট: পহেলা বৈশাখের আনন্দ ক্ষণিকের জন্য কারো কারো কাছে হয়ে গিয়েছিল বিষাদময়। কারণ ভীড়ের মাঝে তারা হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজ সন্তানকে। কিন্তু পুলিশ ঢাকা মহানগরীকে কড়া নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে রেখেও সামাজিক নিরাপত্তা থেকে একটুও পিছপা হয়নি। সামাজিক নিরাপত্তার দায়বদ্ধতা থেকে বৈশাখী উৎসবে মেতে থাকা হারিয়ে যাওয়া ১১ সন্তানকে বাবা-মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটালো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ওয়ারী থেকে আগত আট বছরের শিশু মায়ামনি। বাবার সাথে এসেছিল রমনার বৈশাখী উৎসবে। কিন্তু লোকের ভিড়ে মায়ামনি হারিয়ে ফেলে তার বাবা গোপালকে। কিন্তু হারাতে পারেনি পুলিশের চোখকে। ঠাঁই হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টারে। আর অবশেষে তার বাবাকে খুঁজে পুলিশ ফিরিয়ে দেয় মায়ামনিকে।
কাকরাইল হতে বাবা মায়ের সাথে রমনা পার্কে বৈশাখী উৎসবে এসেছিল ৮ বছর বয়সী শাহরিয়ার। হারিয়ে ফেলেছিল বাবা মাকে। কিন্তু হারায়নি তার পুলিশ আঙ্কেলদের। এক পুলিশ আঙ্কেলকে তার বাবা মাকে খুঁজে না পাওয়ার কথা বলতেই লস্ট এন্ড ফাউন্ডে নিয়ে যায় সেই পুলিশ আঙ্কেল। তারপর তার বাবা সাইফুলকে খুঁজে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শাহরিয়ারকে।
এমনিভাবে মুন্নি, রবিউল, মীম, আদন, সিনহা, তানভীর, মামুন, সাফা, সোহান এরাও হারিয়ে ফেলেছিল তাদের বাবা-মাকে। নেওয়া হয় লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টারে। পরে মাইকিং করে তাদের হারানো বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তখন কেউ বলছিল-‘স্যালুট তোমায়, বন্ধু পুলিশ। আবার কেউ আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিল-‘‘পুলিশের জন্যই আমার সন্তানকে আবার ফিরে পেয়েছি”।