বার্সেলোনার নতুন কাণ্ডারি হোয়ান লাপোর্তে। ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার বার্সেলোনার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর উল্লাসে মেতে ওঠেন ক্লাবটির পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
করোনার কারণে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে কাতলান এ ক্লাবটি। কঠিন এই সময়ে তাদের সাফল্যের ধারায় ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিলেন ৫৮ বছর বয়সী এই আইনজীবী।
নির্বাচিত হয়েই তিনি বলেন, আমি জানি বার্সেলোনা আর্থিক ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে, আমি কথা দিচ্ছি এ সমস্যা বেশিদিন থাকবেনা। আমরা সবাই মিলে কাজ করে সব সমস্যার সমাধান করবো। বার্সেলোনা আবারও তার সুদিন ফিরে পাবে।
দ্য অ্যাথলেটিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, বার্সার ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় এই নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫১ হাজার ৯৮৩টি। লাপোর্তে পেয়েছেন ৫৪ শতাংশ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিক্টর ফন্ত পেয়েছেন ২৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট। টনি ফ্রেইজা পেয়েছেন ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ ভোট।
বড় কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিলেন লাপোর্তা। এই মৌসুম শেষেই শেষ হবে মেসির সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি। গত মৌসুমে দল ছাড়তে চাওয়া আর্জেন্টাইন তারকা আগেই জানান, নতুন সভাপতির সঙ্গে কথা বলে নেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। মেসির ভোট দেওয়াকে অনেকে দেখছেন ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে।
তিনি মেসির সাথে নতুন চুক্তির ব্যাপারে বলেন, আজ কালের মধ্যেই মেসির বাবা ও তার এজেন্ট হোর্হে মেসির সঙ্গে আলোচনা বসবেন। সে বিশ্বের সেরা ফুটবলার। বার্সেলোনাকে ভালবাসে সে। মনে প্রাণে সে বার্সেলোনাকে ধারণ করে। আমি আশা করছি সে এখানেই থাকবে।
উল্লেখ্য, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে গেল বছর অক্টোবরে সরে দাঁড়ান হোসে মারিয়া বোর্তোমেউ। এরপর এ বছর জানুয়ারিতে নির্বাচনের কথা থাকলেও করোনায় পিছিয়ে যায়। এর আগে ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত বার্সেলোনার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন লাপোর্তে।