রাজধানী ঢাকার বাসাবোর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের ‘বিশুদ্ধানন্দ-শুদ্ধানন্দ’ অডিটোরিয়াম হলের দ্বিতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করা হয়।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফীজ সরাফাত ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের।
অনুষ্ঠানে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এদেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করে। তাদের মধ্যে পারস্পারিক ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধন বিরাজমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারছে। সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পবিত্র এ ধর্ম পিঠে বঙ্গবন্ধু কর্নার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেও জানান বিপ্লব বড়ুয়া।
নাফীজ সরাফাত বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ একত্রে শান্তিতে বসবাস করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে ধর্ম, বর্ন, জাতি নির্বিশেষে সব নাগরিক সমান। সেই ধারাবাহিকতাায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি এবং অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের পক্ষে আপোষহীন।
বৌদ্ধ মহাবিহারে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এ পবিত্র ধর্মস্থানে দেশী-বিদেশী অনেক অতিথি আসেন। এর মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এদিকে বাসাবো বৌদ্ধ বিহারের প্রয়াত অধ্যক্ষ একুশে পদকপ্রাপ্ত বৌদ্ধ ধর্মগুরু শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাসাবো বৌদ্ধ বিহারে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার থেকে শুরু হয়ে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে। অনুষ্ঠানের শেষ দিন শুক্রবারে এ ধর্মগুরুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়। করোনার কারণে তাঁর অন্তুষ্টিক্রিয়া মৃত্যুর দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিন দিনের এ কর্মসূচিতে শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর জীবন ও কর্মের ওপর নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।