‘ইউনিকর্ন’ বলতে সেই আজব প্রাণীটির চেহারাই চোখে ভাসে। বাস্তবে তার অস্তিত্ব আছে কি নেই তা নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। তবে যুক্তি-তর্ক সরিয়ে রেখে গল্পে, কল্পনায়, সিনেমায় বহাল তবিয়তেই রয়েছে ঘোড়ার মতো দেখতে এই চারপেয়ে জীব। দুধ সাদা এই ঘোড়ার আলাদা বৈশিষ্ট্য একটাই। ঠিক কপালের মাঝখান দিয়ে ফুঁড়ে বেড়িয়েছে তীক্ষ্ণ একটি শিং। আর এই একশৃঙ্গ ঘোড়াই ‘ইউনিকর্ন’ নামে পরিচিত।
‘ইউনি’ অর্থাৎ ‘এক’ এবং ‘কর্ন’ অর্থাৎ ‘শিং’ এই দু’টি শব্দ নিয়েই ‘ইউনিকর্ন’। অনেকের মতে এক সময় সিন্ধু উপত্যকায় দেখা যেত এই ধরনের ঘোড়া। প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যেও এর উল্লেখ আছে। বাইবেলের ‘রেম’ও নাকি আসলে ইউনিকর্ন-ই।
এ বার সেই ‘ইউনিকর্ন’-এরই দেখা মিলল বাস্তবে!
আইসল্যান্ডে গত বছরের শীতে জন্ম হয়েছিল ‘ইউনিকর্ন’-এর মতো দেখতে এই একশৃঙ্গ ভেড়ার। কিন্তু সেই সময় তাঁর এই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য তেমন ভাল ভাবে বোঝা যায়নি। শরীর দুর্বল থাকায় তাকে পাহাড়ের ধারে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তার মালিক।
অবশেষে প্রাণীটিকে পাহাড় থেকে উদ্ধার করেন আইসল্যান্ডের আর এক বাসিন্দা ইরলা বোরে। পেশায় কৃষক তিনি। অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের এই ভেড়ার নাম দেওয়া হয় ইনহিরনিনগুরে। কপালের মাঝখান দিয়ে মাত্র একটিই বাঁকানো শিং রয়েছে ইনহিরনিনগুরের। এর পর থেকেই ‘বাস্তবের ইউনিকর্ন’ হিসাবে পরিচিতি পায় ইনহিরনিনগুরে।
‘ইউনিকর্ন’-এর বর্তমান মালিক ইরলা জানান, অদ্ভুত ছিল এর শিংটি। পুরুষ হোক বা স্ত্রী, সমস্ত ভেড়ারই দু’টি করে শিং থাকে। কিন্তু ইনহিরনিনগুরে ব্যতিক্রম।