আশির দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে লাকী আখন্দের।
এরপর ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা নেন তিনি। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পর দফায় দফায় তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কখনো অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আবার কখনো বা অবনতি।
সর্বশেষ ২ মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে থাকার পর গত সপ্তাহে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফিরেছেন।
এ বিষয়ে লাকী আখন্দের মেয়ে মামিন্তি আখন্দ নূর বলেন, ‘মাস দুয়েক আগে আব্বুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিএসএমএমইউ-এর সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয়।
অধ্যাপক নেজামুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাসায় ফিরেছেন বেশ কিছুদিন আগেই। আব্বু এখন নিয়মিত খাবার খাচ্ছেন, গান শুনছেন, সবার খোঁজখবর নিচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সবার দোয়া আর ভালোবাসায় আব্বু এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। হাসপাতালে থাকতে মাঝে মাঝে চেতনা ফিরলেও তেমন কাউকে চিনতে পারতেন না। তবে এখন সেই পরিস্থিতি নেই। সবাই আব্বুর জন্য দোয়া করবেন।’