অস্ত্রোচারের মাধ্যমে আলাদা জীবন পাওয়া শিশু তোফা ও তহুরা সুস্থ্ হয়ে বাড়ি যাচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহনুর ইসলাম বলেন, “ইনফেকশনের ঝুঁকি আর নাই, নেই কোনো ধরনের শঙ্কাও।”
দুই শিশুর বাবা মা বাড়িতে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব। তাছাড়া দুই শিশু বেশ ভালো আছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তোফা ও তহুরাকে হাসপাতালের ছাড়পত্র দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম উপস্থিত থাকবেন।
ছয় মাস পর তাদের পায়ূপথ তৈরি করার জন্য আরেকটি অস্ত্রোপচারটি হবে বলে জানান শাহনুর।
গত পহেলা অগাস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে দুই বোনকে আলাদা করেন চিকিৎসকরা।
দুই শিশুর মা সাহিদা বেগম বলেন, আমার দুই শিশুই অনেক ভাল আছে। দুজনই সমানভাবে চঞ্চল। কোরবানির ঈদ বাড়িতে উদযাপন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু বন্যার কারণে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারিনি।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবনের কৃষক রাজু মিয়ার এই জমজ শিশু জোড়া লাগানো অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছিল গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর।
তোফা আর তহুরার পিঠের দিক থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত মেরুদণ্ডের হাড় সংযুক্ত ছিল।