আসন্ন মৌসুমকে সামনে রেখে ডিফেন্ডার লিওনার্দো বুনোচ্চি, মিডফিল্ডার লুকাস বিলিয়া এবং লেফট ব্যাক রিকার্ডো রদ্রিগেজসহ ১০ জন খেলোয়াড়কে কিনে নেয় এসি মিলান। ব্যয় করে ১৬০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রথম ম্যাচে তার সুফল পায়নি ইতালিয়ান ক্লাবটি। তবে শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচেই টাকার দাপটের দেখা মেলে। চীনে দ্বিতীয় ম্যাচে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় মিলান।
এসি মিলান ও বায়ার্ন মিউনিখ- দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচের হারে ধাক্কা সামলে ওঠার লক্ষ্যে শনিবার শেনজেনের স্পোর্টস সেন্টার মাঠে খেলতে নামে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে আর্সেনালের কাছে ২-৩ গেলে হেরে যায় বায়ার্ন। অন্যদিকে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে জার্মান জায়ান্ট বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ১-৩ গোলে হেরে যায় মিলান।
এসি মিলানের চার গোলের দুটিই নতুন রিক্রুটদের করা। এই দুজন হলেন- ফ্রাঙ্ক ইয়ানিক কেসি এবং হাকান কাহানোগলু। অন্য দুটি গোল করেন গত মৌসুমে এসি মিলানে যোগ দেয়া প্যাট্টিক কাতরোনে।
খেলার ১৪তম মিনিটে ইয়ানিকের গোলে এগিয়ে যায় এসি মিলান। রিকার্ডো রদ্রিগেজ এবং নিয়াং নিজেদের মধ্যে ওয়ান-টু-ওয়ান পাস থেকে বায়ার্ন মিউনিখকে ব্যস্ত করে তোলে। এই সুযোগে মিলানের নতুন রিক্রুট রদ্রিগেজের নেয়া শট ক্লিয়ার করলেও বিপদমুক্ত করতে পারেনি জার্মান জায়ান্টরা। কাছেই থাকা সুযোগসন্ধানী ইয়ানিক ১২ গজ দূর থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করে মিলানকে এগিয়ে নেন।
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১০ বারের সাক্ষাতে এসি মিলানকে মাত্র একবার পরাজিত করা বায়ার্ন মিউনিখ ২৫তম মিনিটেই ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। রিকার্ডো রদ্রিগেজের মাপা ফ্রি-কিক বায়ার্ন ডিফেন্ডারদের দুর্গ ভেদ করে কাতরানোকে খুঁজে নেয়। দারুণ হেডে বল জালে পাঠিয়ে মিলানকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন এই ইতালিয়ান তারকা।
বিরতির দুই মিনিট আগে বায়ার্নের ম্যাচে ফেরার স্বপ্নে জল ঢেলে দেয় জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে প্রতিযোগিতামূলক ১০ ম্যাচের ছয়টিতেই জয় পাওয়া এসি মিলান। কাউন্টার অ্যাটাকে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে যান নিয়াং। বায়ার্নের বাধার মুখে পড়ে বোনাভেনতুরাকে পাস থেকে তিনি। বোনাভেনতুরার পারফেক্ট ক্রস থেকে বল পেয়ে সহজেই লক্ষ্যভেদ করে মিলানের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করেন কাতরোনে।
বিরতির পর ব্যবধান কমানোর অনেক চেষ্টা করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে তাতে সফল হয়নি জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। উল্টো খেলার ৮৫তম মিনিটে আরেক গোল হজম করে বসে কার্লো আনচেলত্তির দল। বায়ার্নের ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতার সুবাদে বক্সের ভেতরে ঢুকে নিচু শটে জাল কাঁপিয়ে মিলানের বড় জয় নিশ্চিত করেন কাহানোগলু।
টানা দুই হারে টালমাটাল বায়ার্ন মিউনিখ তিনদিন পর সিঙ্গাপুরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন চেলসির মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার নিজেদের পরের ম্যাচে এসি মিলান খেলবে সিএস ক্রোইভা’র বিপক্ষে।