Britannia Pharmaceuticals এর নাম ভাঙ্গিয়ে বায়োকলি সিড ক্রয় বিক্রয়কারী প্রতারণাকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। যাদের মধ্যে একজন বিদেশী রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো কথিত সাউথ আফ্রিকার নাগরিক BOURG GAYNS @ NGAUICG BOURG AHMED (43), S/O. KONNDA Mustafa, House no # 22 Cloton Johanesbrag. South Africa ও যশোর সদরের মোঃ ছাইদুর রহমান (৩২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুরে খিলক্ষেত থানার হোটেল লা-মেরিডিয়ান এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম।
ঘটনার শুরু যেভাবেঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ করেন যে, তার সঙ্গে অনুমান দুই মাস পূর্বে Jacques Tabacaf নামক ফেইস বুক আইডি হতে তার Aminul Islam ফেইসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়। তিনি সরল বিশ্বাসে রিকুয়েস্ট গ্রহণ করেন। বন্ধুত্ব ভালই চলছিল। বিদেশী প্রতারক ম্যাসেনজারে ম্যাসেজ দিয়ে এবং ফোন করে জানায়, সে Britannia Biotech pharmaceuticals inc তে ডায়রেক্টর পদে কাজ করে। বাংলাদেশের সিলেট হতে বায়োকলি অর্গানিক সিডস তাদের কোম্পানিতে ঔষধ তৈরির জন্য নিয়ে যায়। বন্ধু হিসেবে তিনি তার সহায়তা চান।
Jacques Tabacaf বায়োকলি অর্গানিক সিডস সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সিলেটের কানাইঘাটের এ জেড কোয়ালিটি ফার্ম প্রোডাক্টের এক মহিলার মোবাইল নম্বর প্রদান করেন। তিনি তার সাথে যোগাযোগ করলে উক্ত মহিলা জানায়, তাদের বায়োকলি উৎপাদনের সিজন চলছে যতো প্যাকেট প্রয়োজন দেওয়া যাবে।
পরবর্তী সময়ে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে Jacques Tabacaf এর যোগাযোগ হলে সে জানায়, তারা প্রতি প্যাকেট ২৯ হাজার টাকা দরে চার কিস্তিতে ১০০০ প্যাকেট নিবে। তখন আমিনুল ১০ প্যাকেট বায়োকলি অর্গানিক সিডস নেওয়ার জন্য উক্ত মহিলার সাথে যোগাযোগ করে। উক্ত মহিলা তাকে আগে কমপক্ষে এক প্যাকেটের মূল্য ২৯,০০০ টাকা পরিশোধ করার জন্য বলে।
মোঃ আমিনুল ইসলাম ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে উক্ত মহিলার তথ্যমত নগদ ২৯,০০০(উনত্রিশ হাজার) টাকা জমা দেন। জমা দেওয়ার পরদিন ১০ প্যাকেট কথিত বায়োকলি অর্গানিক সিডস নিয়ে যশোরের মোঃ ছাইদুর রহমান (৩২) তার বাসায় আসে এবং ২,৬১,০০০(দুই লক্ষ একষট্টি হাজার) টাকা চায়।
তখন তিনি Jacques Tabacaf এর সাথে মেইল ও ম্যাসেনজারে যোগাযোগ করেন। সে জানায় যে, উক্ত টাকা দিয়া দিলে কোম্পানির প্রতিনিধি ঢাকায় দুই এক দিনের মধ্যে এসে ১০(দশ) প্যাকেটসহ মোট ১৫০(একশত পঞ্চাশ) প্যাকেটের টাকা অগ্রিম দিবে। তার কথা মতে নয় প্যাকেটের মূল্য ২,৬১,০০০ টাকা আসামী ছাইদুর রহমান এর নিকট নগদ প্রদান করেন।
এইরূপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহযোগিতায় ১৪০ প্যাকেট বায়োকলি সিড ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুইটি অত্যাধুনিক মোবাইল সেট সহ দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে।