যানজট নিরসনে এলাকাভিত্তিক গাড়ির সংখ্যা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে (বিআরটিএ) দিয়ে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৭’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। মোটরযান ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে পরিকল্পিত, প্রযুক্তি নির্ভর, টেকসই, পরিবেশ বান্ধব ও দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য মঙ্গলবার এ আইনটি পাস করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়ুদুল কাদের বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যদের জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব নিষ্পত্তি করা হয়।
পাস হওয়া বিলটির মাধ্যমে যেকোনও এলাকা বা অধিক্ষেত্রের জন্য পরিবার বা প্রতিষ্ঠান প্রতি গাড়ির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণের ক্ষমতা পাচ্ছে বিআরটিএ।
২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত এই আইনের খসড়াটি জাতীয় সংসদে গত ফেব্রুয়ারি মাসে উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। পরে এটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
‘মোটর ভেহিকেলস অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩’-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত বিআরটিএ এখন এই আইনের অধীনে পরিচালিত হবে। পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, বিআরটিএ যানজট নিরসনে মোটরযান ও গণপরিবহনের সংখ্যা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
মোটরযান চালনার লাইসেন্স প্রদান, মোটরযানের নিবন্ধন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট, গতিসীমা নির্ধারণ, গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে সরকারের কাছে সুপারিশ করাসহ বেশ কিছু ক্ষমতা থাকবে এই কর্তৃপক্ষের।
বিআরটিএকে কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা দিতে বলা হয়েছে এই বিলে। কর্তৃপক্ষ, সরকারের আগের অনুমোদন নিয়ে ‘কোম্পানি আইন-১৯৯৪’ এর অধীন এক বা একাধিক কোম্পানি গঠন করতে পারবে।
আইনটি কার্যকর হলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে সভাপতি করে বিআরটিএর একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হবেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সেতু বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, বাণিজ্য সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, রেল সচিব ও নৌ-পরিবহন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিরা।