মুমূর্ষু রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিএসএমএমইউ শিগগিরই জরুরি বিভাগ চালু করতে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, ‘আগামী মার্চের মাসের প্রথম সপ্তাহে জরুরি বিভাগ চালু হতে যাচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সুবিধার্থে প্রায় একবছর আগেই জরুরি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী জরুরি বিভাগ চালুর বিষয়ে কার্যক্রমও শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিুবর রহমান দুলাল বলেন, ‘আমাদের জরুরি বিভাগ চালুর প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। ঠিকাদারের মাধ্যমে বিদেশ থেকে কিছু জিনিসপত্র (যন্ত্রপাতি) কেনাকাটার কাজও শেষ পর্যায়ে আছে। সেগুলো আনতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঠিকাদাররা জিনিসপত্র যদি এমাসেই দিতে পারে, তাহলে আগামী মাসের (মার্চ) প্রথম সপ্তাহে আমরা উদ্বোধন করতে পারবো। কেবিন ব্লকের নিচেই হবে জরুরি বিভাগ।’
প্রক্টর ডা. দুলাল বলেন, ‘ আমরা জেনারেল ইমার্জেন্সিটা চালু করবো। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ যে ক্যাজুয়ালটি ইমার্জেন্সি করে—রোড ট্রাফিক অ্যাকসিডেন্ট, সেগুলো সব হয়তো আমরা করতে পারবো না। প্রিলিমিনারি কেসগুলো আমরা দেখবো।’
তিনি বলেন, ‘কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে বিএসএমএমইউ-তে একহাজার শয্যার যে হাসপাতাল হচ্ছে, আমরা সেখানে ক্যাজুয়ালটি ইর্মাজেন্সির জন্য ২০০ বেড রাখবো।’
বিএসএমএমইউ-এর নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ও এই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘জরুরি বিভাগ উদ্বোধনের কোনও তারিখ এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। তবে যত দ্রুত পারা যায়, সেই চেষ্টা আছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানকার জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে। আমাদের এখানে বর্তমান অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি, পেডিয়াটিক সার্জারি, গাইনির জরুরি বিভাগ আছে, সেগুলো আরও সম্প্রসারণ করা হবে।’
ডা. বড়ুয়া বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যালেও তো ফ্লোরে রোগী ভর্তি করা হয়। আমাদের এখানে সেই সুযোগ নেই। বর্তমানে আমাদের নিউরো সার্জারিতে ২৫টি ও অর্থোপেডিকসে ১৫টি বেড আছে। জরুরি বিভাগ খোলার পর আরও ৬০টি বেড চালু করা হবে।’