রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক মান সংস্থাসমূহের সাথে সঙ্গতি রেখে উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট থাকতে বিএসটিআই’র প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। আগামীকাল বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হবে।বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বিএসটিআই’র উদ্যোগে বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ১৮৭৫ সালের ২০ মে ফ্রান্সের প্যারিসে স্বাক্ষরিত পরিমাপ সম্পর্কিত ‘মিটার কনভেনশন’-কে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর এদিন বিশ্বব্যাপী মেট্রোলজি দিবস পালন করা হয়। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক বিশ্ব বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেট্রোলজিস্টগণ আন্তর্জাতিক পরিমাপ পদ্ধতির সূক্ষ্মতা অধিকতর নিশ্চিতকরণ ও এ লক্ষ্যে এ পদ্ধতির এককসমূহের সংজ্ঞা পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় সিজিপিএম সভায় ওজনের একক কিলোগ্রামের সংজ্ঞার পরিবর্তন এবং ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী সভায় অ্যাম্পিয়ার, কেলভিন এবং মৌলের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এ বছর বিশ্ব মেট্রোলজি দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক পদ্ধতির এককসমূহের ক্রম বিবর্তণ’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং যথার্থ হয়েছে। ওজন ও পরিমাপের সকল ক্ষেত্রে এর সঠিকতা নিশ্চিতকরণ ও পরিমাপ বিজ্ঞানের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এ দিবস উদ্যাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ক্রমবিকাশমান সামাজিক চাহিদা পূরণে নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং তার ব্যবহারের প্রতিটি পর্যায়ে সঠিক পরিমাপের গুরুত্ব অপরিসীম। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, নতুন নতুন উদ্ভাবন, শিল্পের বিকাশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বৈশ্বিক পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পরিমাপ বিজ্ঞানের আবশ্যকতা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যেও এসেছে বহুমাত্রিকতা। তাই পণ্যের সঠিক পরিমাপ ও মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই’র ভূমিকাও ক্রমশঃ সম্প্রসারিত হচ্ছে।