ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিকাশ প্রতারক চক্রের প্রধানসহ ০৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মোঃ সাইফুল ইসলাম (২২), ২। মোঃ লিটন হোসেন (২৩), ৩। মোঃ জুবায়ের শেখ (২২), ৪। মোঃ গোলাম কিবরিয়া মন্ডল (১৯), ৫। মোঃ ইমরান মোল্লা (২৩), ৬। মোঃ শাওন হোসাইন মন্ডল (১৮), ৭। মিনজারুল ইসলাম মোল্লা (২৫), ৮। মোঃ আশরাফ মোল্লা (২৬) ও ৯। সাগর আহম্মেদ (২৫)।
১৬ অক্টোবর, ২০২০ রাজধানীসহ ঢাকা এবং গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মডেলের ৫টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিমকার্ড এবং ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রধানত ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণা কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। প্রথম গ্রুপ মাঠ পর্যায়ে অবস্থান করে বিভিন্ন বিকাশের দোকানে টাকা বিকাশ করার কথা বলে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পূর্বে লেনদেনকৃত বিকাশ খাতার ছবি তুলে নেয় তারা। পরবর্তী সময়ে উক্ত ছবি হোয়াটসঅ্যাপ-এ দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে স্থান উল্লেখ করে পাঠিয়ে দেয়।
দ্বিতীয় গ্রুপ তার কাছে পাঠানো বিকাশ খাতা থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ দোকানদার সেজে কল করে এবং জানতে চায় যে, তাদের কাছে পাঠানো টাকা তারা পেয়েছেন কিনা এবং ক্যাশ আউট করেছেন কিনা। যদি বলে পেয়েছে কিন্তু টাকা তুলেনি বা ক্যাশ আউট করেনি তখন প্রতারকরা তাদের প্রতারণার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার শুরু করে। প্রতারণার ছলে বলতে থাকে যে, আমার দোকান হতে একই সময়ে কয়েকটি নাম্বারে পাঠানো টাকা নিয়ে অভিযোগ আসায় তাদের নাম্বার লক করতে গিয়ে আপনার নাম্বারও লক হয়ে গেছে। আপনাকে বিকাশ আফিস হতে ফোন করে আনলক করে দেবে।
অল্প সময়ের ব্যবধানে তৃতীয় গ্রুপ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস অফিসার পরিচয় দিয়ে, অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ অফিসের নাম্বার ক্লোনিং করে ফোন দেয়। ফোন করে বিভিন্ন কথার ছলে ওটিপি এবং বিকাশ পিনকোড নিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে গ্রাহকের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রতারক চক্র এ্যাকাউন্ট আনলক করার কথা বলে ভিকটিমের বিকাশ এ্যাকাউন্ট এবং প্রতারক চক্রের বিকাশ এ্যাকাউন্টে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা দিতে বলে।
এই ভাবে হাতিয়ে নেওয়া টাকা মাঠ পর্যায়ে থাকা সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ গ্রুপ এর নিকট পাঠানো হয়। যারা বিভিন্ন হাত বদল করে ক্যাশ আউট করে, ফলে প্রতারকদের অবস্থান সনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। উক্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।