কেস ফলোআপ-৫
ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ইং ২৬/১১/২০১৫ তারিখ ভোর অনুমান ০৫.০০ টা
ঘটনাস্থলঃ তুরাগ থানাধীন বাদশার টেক পাকার মাথা আল আমিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ নামীয় সাাইন বোর্ড সংলগ্ন ন্থান।
বাদীঃ মোঃ নাজিম উদ্দিন খান (ভিকটিমের ভাই)
মামলা নংঃ তুরাগ থানার মামলা নং-১৪, তারিখঃ ২৮/১১/২০১৫ ইং।
ধারাঃ ৩৯৪ পিসি।
তদন্তকারী সংস্থাঃ তুরাগ থানা, ডিএমপি, ঢাকা।
মোট অভিযুক্তঃ ৪ জন ।
উদ্ধারঃ একটি HTC এন্ড্রুয়েড মোবাইল সেট যার IMEI নং-৩৫২৭০৬০৬০-৭৫১১১৮ এবং ৩৫২৭০৬০৬০ ৭৫১১১৬ মোবাইল টি পুরাতন, সীমবিহীন কালো রংয়ের।
মোট সাক্ষীঃ ১৪ জন ।
মোট আহতঃ ১ জন (মোঃ শামীম খান)।
কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীঃ ৩ জন।
এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ বাদীর ছোট ভাই মোঃ শামীম খান বিকেএসপির একজন খেলোয়াড়। গত ইংরেজী ২৫/১১/১৫ তারিখ রাত ১৫.৩০ টায় বগুড়া হতে বর্তমান ঠিকানায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ২৬/১১/১৫ তারিখ ভোর রাত অনুমান ০৪.৪০ টায় জসীম উদ্দিন মোড়ে আসেন। জসীম উদ্দিন মোড় হতে বাদলদী যাওয়ার পথে ভোর অনুমান ০৫.০০ টায় তুরাগ থানাধীন বাদশারটেক পাকার মাথা আল আমিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ নামীয় সাইন বোর্ডের নিকট আসামাত্র অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন লোক তাকে বহনকৃত রিক্সার গতিরোধ করে তাদের নিকট থাকা চাপাতি দিয়া বাদীর ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার মাথার পিছনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে এবং তার ব্যবহৃত HTC মোবাইল সেট সীমসহ ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। বাদী ডাক চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে তারা চলে যায়। বাদীর ভাইয়ের শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে প্রথমে ক্রিসেন্ট হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে তিনি আরোগ্য লাভ করেন।
তদন্তঃ সম্পূর্ন ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্ত করে তুরাগ থানা পুলিশ। তদন্তকালে সাক্ষ্য প্রমান ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভিকটিমের ব্যবহৃত HTC মোবাইল সেট উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে ৪ জনের জড়িত থাকার তথ্য প্রমান পায়। যার মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকী ১ জন পলাতক আছে।
গ্রেফতারকৃত ৩ জন হলোঃ ১। মোঃ জসীম (২০), পিতামৃত-হান্নান দেওয়ান, সাং-ঝগড়ার চর, থানা-শ্রীবরদী, জেলা-শেরপুর। এ/পি সাং-খোরশেদ মাতব্বরের বাড়ীর ভাঁড়াটিয়া, থানা-তুরাগ, ঢাকা।
২। মোঃ রুবেল মিয়া (২০), পিতা-আঃ মজিদ মিয়া, সাং-বিবির চর, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর। এ/পি সাং-আঃ মান্নানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া দলিপাড়া, থানা-তুরাগ, ঢাকা।
৩। মোঃ ফরহাদ মিয়া (১৮), পিতা-মোঃ শাহাজাহান মিয়া, সাং-ফুলকারচর, থানা-ইসলামপুর, জেলা-জামালপুর। এ/পি সাং-সামাদ এর বাড়ীর ভাঁড়াটিয়া, উত্তর বাউনিয়া, বটতলা বাড়ী নং-৩৩, রোড নং-১, থানা-তুরাগ, ঢাকা।
গ্রেফতারকৃত ৩ জনই বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এবং তাদের দখল হতে লুন্ঠিত মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
পলাতক ১ জন হলোঃ ১। মোঃ মমিজ উদ্দিন ওরফে ফয়সাল(২৫), পিতামৃত-আবুল কাশেম ওরফে শাহজামাল (দুদু), মাতা-মোছাঃ মমেজা ওরফে পাতা বেগম, সাং-ফুলকারচর জোদ্দার বাড়ী, থানা-ইসলামপুর, জেলা-জামালপুর।
মামলার বর্তমান অবস্থাঃ মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।