বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ছয়বার ফাইনাল হারের দগদগে ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ দল। অধরা ট্রফি জয়ের সপ্তম মিশনে আজ মাঠে নামবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ডাবলিনের মালাহাইডে বাংলাদেশ সময় পৌনে ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
২০০৯ সালে মিরপুরে শুরু হয়েছিল ট্রফির মিশন। সেবার প্রথমবার বহুজাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল হারের কষ্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। তারপর মিরপুরে আরো তিনটি, কলম্বোর প্রেমাদাসায় একবার, আরব আমিরাতের মরুর বুকে একবার হৃদয়ভাঙা ফাইনাল হারের স্মৃতি সঙ্গী হয়েছিল বাংলাদেশের। একটা ট্রফি জয়ের হাহাকার এখন গোটা দেশ জুড়ে।
এবার কি ঘুচবে ট্রফির আক্ষেপ? ত্রিদেশীয় সিরিজের সামগ্রিক আবহ আশাবাদী হওয়ার রসদই যোগান দিচ্ছে। প্রথম পর্বে তিন ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানরা দুই ম্যাচে, আইরিশরা এক ম্যাচে—পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের কাছে। সম্মিলিত পারফরম্যান্সের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আজ ফাইনালে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারেন মাশরাফি। প্রথমবার কোনো ট্রফি জয়ের ইতিহাস গড়তে পারে বাংলাদেশ।
তবে এমন আশার মঞ্চেও কিছুটা দুর্ভাবনা ঠিকই রয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে। গত ম্যাচে সাইড স্ট্রেইনের ব্যথা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যথা সহ্য করতে না পারায় এবং দল কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বলে ৫০ রান করার পর অবসরে গিয়েছিলেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ফিজিওর পর্যবেক্ষণে আছেন সাকিব। গতকাল পুরো দিনই বিশ্রামে ছিলেন তিনি। আজ ফাইনালে সাকিবকে পাওয়া অনিশ্চিত। তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া শঙ্কা দূর হয়নি। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বলেছেন, সাকিবের খেলার বিষয়টি তার উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ফাইনালে ছয়বারের ব্যর্থতা এখন অতীত। ‘লাকি সেভেন’ মিশনে ট্রফির আলোয় উদ্ভাসিত হবে বাংলাদেশ দল। আজকের ফাইনাল নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের অন্তরের স্লোগানটা যেন এমনই— জেতার দিন শেষ, ট্রফির আবেশে ভাসুক দেশ।