কাঁদানে গ্যাস বা জলকামান নয়, গান ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হল প্রতিবাদী ভিড়কে। ঘটনাস্থল নিউজিল্যান্ড। সেখানে জনগণের একটি অংশ করোনা বিধিনিষেধ মানতে নারাজ। তাই তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এই বিক্ষোভ মোকাবিলায় শেষমেশ সংগীতের আশ্রয় নিল নিউজিল্যান্ড পুলিশ।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বে এ পর্যন্ত যেসব দেশ বলার মতো সফল, তাদের অন্যতম হল নিউজিল্যান্ড। সংক্রমণ মোকাবিলায় তারা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এখনও দেশটি তার সীমান্ত খোলেনি। তবে দেশটির জনগণের একটি অংশ এসব বিধিনিষেধ আর মেনে চলতে নারাজ। তাই তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। আর এই বিক্ষোভ মোকাবিলায় শেষমেশ সঙ্গীতের আশ্রয় নিল নিউজিল্যান্ড পুলিশ।
করোনা-বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বহু পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। এমনকি ১২২ জনকে গ্রেফতারও করেছে তারা। কিন্তু বিক্ষোভ থামেনি। শেষমেশ এই নতুন পথ বেছে নিল পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরাতে তারা সঙ্গীতের আশ্রয় নিল।
এ জন্য উচ্চমাত্রার শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা হয়। বাজানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের তারকা ব্যারি ম্যানিলোর ১৯৭১ সালে প্রকাশিত গান ‘কুড ইট বি ম্যাজিক’ থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় গান। স্প্যানিশ ভাষার গানও বাজানো হয়। করোনাটিকা নিয়ে বিভিন্ন বার্তাও প্রচার করা হয় ওই মিউজিক সিস্টেম থেকেই। কিন্তু এতেও কাজ হয় না। নিউজিল্যান্ড পুলিশকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ব্রিটিশ সঙ্গীত তারকা জেমস ব্লান্ট। তিনি টুইটে লেখেন– নিউজিল্যান্ডের পুলিশের কৌশলে যদি কাজ না হয়, তবে আমাকে সুযোগ দেওয়া হোক।
জেমস ব্লান্টকে নিউজিল্যান্ড পুলিশ সুযোগ দিয়েছে। তবে তাঁকে সরাসরি যেতে হয়নি। তাঁর টুইটের কয়েক ঘণ্টা পর নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জেমস ব্লান্টের গান বাজানো শুরু করে। ব্লান্টের অন্যতম জনপ্রিয় ‘ইউ আর বিউটিফুল’ গানটি বাজানো হয়।
তবে এত কিছু করেও কাজ হয়নি। এ সংক্রন্ত একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিরক্ত হয়ে চলে যাওয়া তো দূরের কথা, বিক্ষোভকারীরা উল্টে পুলিসের বাজানো গানের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন, কেউ কেউ নাচছেনও!