বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে। তবে মুক্তির যুদ্ধ শেষ হয়নি। ১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর থেকে মুক্তির যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং যা আজও চলমান রয়েছে। মহান বিজয় দিবসের অর্জনকে সফল করতে হলে সমগ্র বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, অশিক্ষা, বৈষম্য থেকে আমরা মুক্ত হতে পারিনি। এখনও সমাজে মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচারকে সম্পূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। এ জন্যই আমাদেরকে মুক্তির সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লকের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে শিশুদের অংশগ্রহণে এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, দেশের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সংস্কৃতি ও সাহিত্যে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের শিশুরাই আগামীদিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়বে। সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত ও বিকশিত হয়ে থাকে। সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতি চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে খেলাধুলার উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা মহান বিজয় দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য সর্ম্পকে অবহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মননে ঐতিহাসিক এই বিজয়কে ধারণ করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে।
বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান বলেন, দেশ থেকে রুচির দুর্ভিক্ষ দূর করতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার করতে হবে। চিত্রাঙ্কন সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মধ্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতি আরও বিকশিত ও সমৃদ্ধি হবে।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধনকালে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ইমরান হোসেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, গ্রন্থাগারিক ও কবি অধ্যাপক ডা. মোঃ হারিসুল হক, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ মিজানুর রহমান, বক্ষব্যধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নিউরোসার্জারী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দেবাশীষ সাহা।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় গ্রুপ-ক-তে বিশেষ শিশু, গ্রুপ-খ-তে ৬ বছর বয়সের কম এবং গ্রুপ-গতে ৬-১২ বছর বয়সের শিশুরা অংশ নেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীগণের ছেলেমেয়েরা অংশগ্রহণ করেন এবং প্রত্যেক গ্রুপে ৩টি করে পুরস্কার প্রদান করা হয়।