রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জঙ্গী তৎপরতার জন্য সাময়িকভাবে আমরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলাম। এখন আবার পর্যটকদের মাঝে আস্থা ফিরেছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি ইন্টার পার্লামেন্টারিয়ান ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনে বেদেশি অতিথিরা এসেছিলেন। তারা বাংলাদেশের আয়োজনের প্রশংসা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আতিথিয়েতার ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের পর্যটন খাতে টেকসই উন্নয়ন করতে হবে। একজন পর্যটকের কারণে ১১ জনের কর্মসংস্থান হয়, সেটি বিবেচনা করলে দেশের আর্থিক উন্নয়নে পর্যটন ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশ ও ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পর্যটনে আঞ্চলিক সম্পর্ক বৃদ্ধি প্রয়োজন বলেও মত দিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পর্যটনে আঞ্চলিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চাই। এক্ষেত্রে সুন্দরবনকে ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন বিভাগের মিনিস্টার ইনচার্জ গৌতম দেব বলেন, ‘কাঁটাতারের বেড়ায় আমারা ভাগ হয়ে গেলেও হৃদয়ে এক আছে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ। দুদেশের মধ্যে পর্যটনে যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে পর্যটন সচিব গোলাম ফারুক বলেন, ‘দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৩ দশমিট ৮ শতাংশ হয় পর্যটন খাতে। এখাতে আরও কর্মসংস্থান বাড়ার সুযোগ আছে। আমরা বিভিন্নভাবে পর্যটন খাতের উন্নয়নে উদ্যোগ নিচ্ছি। বাংলাদেশের জিডিপির ৪ দশমিক ৩ ভাগ আসে পর্যটন খাত থেকে। আরও উন্নয়ন করলে এ খাত থেকে দেশের আয় বাড়বে।’