বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ৫ম আসরের দামামা বাজবে ৪ঠা নভেম্বর থেকে। গতকাল বিপিএল এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান আফজালুর রহমান সিনহা ও সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ১৬ই সেপ্টেম্বর প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে নভেম্বরের দুই তারিখ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এবার অবশ্য শেষ আসরের সাত দলের সঙ্গে সিলেটের ফ্যাঞ্চাইজি ফিরছে, তা আগেই জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে আট দলের হতে পারে। সে সম্ভাবনাই বেশি। তাতে করে বাড়বে ম্যাচের সংখ্যাও। সেই ক্ষেত্রে ম্যাচের সংখ্যা হবে ৬০টি হবে। অন্যদিকে বাড়ছে পঞ্চম আসরে ভেন্যুও। গেল আসরে মিরপুর ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিপিএলের ম্যাচ।
আসন্ন আসরে যোগ হয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল ঢাকা ডায়নামাইটস। প্রথম দুইবারের শিরোপাজয়ী দল ছিল বর্তমানে নিষিদ্ধ ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। তৃতীয় আসরে ট্রফি জেতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আটটি দল নিবন্ধন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত যে আট দলই অংশ নেবে, সে নিশ্চয়তা নেই।
বিপিএল আয়োজক ও ব্যবস্থাপকদের কথায় পরিষ্কার- আট দলের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো আর্থিক সঙ্গতি ও নিশ্চয়তার সব বৈধ কাগজপত্র জমা দেয়নি। কোনো ফ্র্যাঞ্জাইজি ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হলে তার মালিকানা স্বত্ব বাতিল বলে গণ্য হবে।’ এমন হলে দল সংখ্যা আট থেকে কমে সাতে নেমে আসতে পারে।
এর বাইরে বিপিএল আয়োজকরা বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা বাড়ানোর চিন্তা ভাবনাও করছেন। এছাড়াও গত আসর পর্যন্ত প্রতি দলে ১১ জনের মধ্যে ৪ জন বিদেশি খেলানো যেত। এবারের বিপিএলে সে সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এবার এক ম্যাচে ৫ বিদেশি খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানানো হয় গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে।