একঘরে করে দেয়া মানে কিন্তু ঘরে বসে থাকা নয়। আর সেটাই প্রমাণ করলেন মোতাজ আল খায়াত নামে কাতারের এক ব্যবসায়ী। দেশে যখন দুধ উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিয়েছে, মোতাজ তখন অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকা থেকে বিমানে গরু আনার কথা ভাবছেন। প্রায় ৪ হাজার গরু এনে কাতারেই খুলে ফেলবেন একটি ডেইরি ফার্ম। তার মনে হয়েছে, এটাই দেশের জন্য কাজ করার সেরা সময়। চলতি মাসের শেষেই চালু হবে ওই কারখানা।
ছোট্ট একটি দেশ, কাতার। আয়তন মাত্র ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার। গত সপ্তাহেই কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আরবের সাতটি দেশ।
প্রতিবেশী সৌদি আরবের নেতৃত্বেই এই সম্পর্কচ্ছেদ শুরু হয়েছে। সৌদি সীমান্ত দিয়েই প্রায় ৪০ শতাংশ খাদ্যসামগ্রী প্রবেশ করত কাতারে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ কাতারির দুধের চাহিদা মেটাত তারা। সৌদি ছাড়াও কাতারের সঙ্গে বিমান, সমুদ্র ও স্থলপথে ইতোমধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে বাহরাইন, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন, লিবিয়া এবং মালদ্বীপ।
সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে খাদ্য সমস্যায় ভুগছে কাতার। ইরান সব ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস উৎপাদনই এখন অন্যতম বাধা বিশ্বের প্রধানতম তেল উত্তোলক এই দেশের।
পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান মোতাজা জানান, ওই চার হাজার গরু আনতে কাতার এয়ারওয়েজের ৬০টি বিমান লাগবে। শুধু মোতাজার মতো ব্যবসায়ীরাই নন, সাধারণ নাগরিকরাও একজোট হতে শুরু করেছে আরব বিশ্বে কাতারকে একঘরে করে দেয়ার বিরুদ্ধে।