আকাশে উড়ার নেশা পেয়ে বসেছিল ক্যাপ্টেন জয়দেব ভাসিনের। সেই নেশাই পরবর্তীতে পেশায় পরিনত হয় তার। ১৯৫৪ সালে ভারতের প্রথম সাতজন পাইলটের মধ্যে জয়দেব হলেন অন্যতম। পরে তার পূত্রবধূ নিবেদিতা জেইন ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্সে দেশের তৃতীয় নারী পাইলট হিসেবে যোগ দেন। স্বামী রহিত ভাসিনও পাইলট।
বর্তমানে নিবেদিতা এবং তার স্বামী রহিত ভাসিন গর্বিত বাবা-মা। তাদের ছেলে রোহান ও মেয়ে নিহারিকা ভাসিনও একই পথে হাঁটছেন। সব মিলিয়ে তিন প্রজন্ম অর্থাৎ তিন পুরুষজুড়ে তারা বিমান চালনার পেশায় জড়িত। শতবছর ধরে আকাশে উড়ছে ভারতীয় এই পাইলট পরিবার। বিমান উড়ানোতেই তাদের পেশা, নেশা আর ভালোবাসা সব একাকার।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, প্রায়ই সারা বছরই আকাশে উড়তে হয় ভাসিন পরিবারের সদস্যদের। মাসে মাত্র পাঁচ-থেকে ছয়দিন একসঙ্গে কাটাতে পারেন তারা। নিবেদিতা ও রোহিতের ছেলে ২৯ বছরের রোহন জানান, তার বাবা-মা কেজি ক্লাসে ভর্তি করানোর সময় তাকে ক্যাপ্টেন রোহন ভাসিন বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই থেকেই বিমান নিয়ে আকাশে উড়ার স্বপ্ন তৈরি হয়।
সাতাশ বছরেই গত শতকের নয়ের দশকের শুরুর দিকে এয়ারবাস ৩০০-এর মতো বিমানের কম্যান্ডার হন নিবেদিতা। আর ১৯৯৮ সালে বিশ্বের প্রথম অল-উইমেন ক্র-র কো-পাইলট হিসেবে কলকাতা-শিলচর রুটে ফকার ফ্রেন্ডশিপ বিমান চালিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। পাইলট হিসেবে তার সংস্থায় তিনিই প্রথম মা হন। পরের বছর থেকে তার সংস্থায় মাতৃত্বকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়।
নিবেদিতার বিমান চালানার আবেগ -অনুভূতি প্রভাবিত হয়েছে তার দুই সন্তানের মধ্যে। পুত্র রোহন এয়ার ইন্ডিয়ায় বছর দশেক ধরে কাজ করছেন। এখন রোহান বোয়িং ৭৭৭ বিমানের কম্যান্ডার। রোহানের সন্তান কী বিমান চালাবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে হয়তো রোবট দিয়েই বিমান ওড়ানোর কাজ চলবে, সেটা বলা মুশকিল। রোহনের বোন নিহারিকার বিয়ে কয়দিন বাদেই। তারও প্রত্যাশা তার সন্তান যেন পাইলট হয়।