যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীবাহী একটি বিমান থেকে বেশ কয়েকটি স্কুলের ওপর তেল ফেলে দিলে, সেই তেলে কমপক্ষে ৬০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। জানা যায়, বিমানটি লস অ্যাঞ্জেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার আগে জরুরি অবতরণ করার আগে সেই তেল ফেলে দেয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিমানের ফেলে দেয়া ওই তেলের সংস্পর্শে তাদের ত্বকে চুলকানি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে তাদেরকে চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে। তবে তাদের কারো অবস্থা গুরুতর নয়। সাধারণত জরুরি অবতরণের আগে দুর্ঘটনা এড়াতে বিমান থেকে কিছু তেল ফেলে দেয়া হয়।
তবে বিমান চলাচল সংক্রান্ত আইনে বলা আছে, এই তেল ফেলা যাবে শুধুমাত্র নির্ধারিত কিছু স্থানে এবং আকাশের অনেক উপর থেকে। ডেল্টা এয়ারলাইন্সের বিমানটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে সেটি বিমানবন্দরে ফিরে আসছিল বলে জানা গেছে।
ডেল্টা কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, অবতরণের সময় বিমানের ওজন কমাতে বিমানটি থেকে তেল ফেলে দেয়া হয়েছে। তেল পড়েছে কমপক্ষে ছয়টি স্কুলের ওপর। এরকম একটি স্কুল পার্ক এলিমেন্টারি স্কুল, যা বিমানবন্দর থেকে ১৬ মাইল দূরে। বিমান থেকে তেল ফেলার সময় ওই স্কুলের দুটি ক্লাসের শিশুরা স্কুলের বাইরে ছিল।
অনেক বিমান, বিশেষ করে দূর পাল্লার ফ্লাইটের সময়, এতো তেল নিয়ে উড্ডয়ন করে যা তাদের অবতরণের সময় সর্বোচ্চ যতো ওজন হওয়ার কথা তার চাইতেও বেশি হয়। সাধারণত পথে তেল পুড়ে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে বিমানটির ওজনও কমে আসে।
কিন্তু বিমানটি যখন কোন কারণে তার ফ্লাইট সংক্ষিপ্ত করে অবতরণ করতে বাধ্য হয় তখন এর ওজন এতো বেশি থাকে যা নিরাপদে অবতরণ করানো বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই পাইলটকে বিমান থেকে খুব দ্রুত তেল ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবে সব বিমান থেকে তেল ফেলার এই সুবিধা নেই।