ইরানের ক্ষেপণাস্তের হামলায় গত ৮ জানুয়ারি ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তেহরানের ওপর আরো চাপ বাড়ালো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এ ঘটনায় তারা এবার তেহরানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
তেহরানের ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৬৭ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের ওই বিমানে ইরান ছাড়াও ৫টি দেশের যাত্রী ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) লন্ডনস্থ কানাডার দূতাবাসে মিলিত হয়েছিলেন কানাডা, ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা। সেখানে তারা নিহত বিমান আরোহীদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেন। পরে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তেহরানকে। একই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের সুযোগ করে দিতে হবে। যে তদন্তে অংশ নেবেন এই পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা।
বিমানে হামলা চালানোর বিষয়টি ইরান স্বীকার করলেও এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর তারা দিচ্ছে না। যতদিন পর্যন্ত সেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না, ততদিন তেহরানের উপর চাপ বজায় রাখা হবে।
সম্প্রতি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরানি এলিট গার্ড আল কুদসের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। এর বদলা নিতে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই তেহরানের খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি।