বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রানের পাহাড় গড়েছে ম্যাশ বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান করেছে, যা যেকোন বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ স্কোর।
ওভালে আজ টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হয় তামিম-সৌম্যর ব্যাটে। দুই উদ্বোধনীর ব্যাটে আসে ৮ ওভার ২ বলে ৬০ রান। তামিম খেলছিলেন ধীরে আর সৌম্য ব্যাট চালাচ্ছিলেন আপন মনে। তামিমের ধীরে খেলে থিতু হবার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন অ্যান্ডিল ফিলহুকওয়েও। ব্যক্তিগত ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর ১১ ওভার ৪ বলের মাথায় ক্রিস মরিসের ওভারে ৩০ বলে ৯ চারে ৪২ রান করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্যও।
দলীয় ৭৫ রানে নেই ২ উইকেট। এই অবস্থা থেকে দলকে দাঁড় করিয়েছেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম। দুজনের ব্যাটে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
অর্ধশতকের দেখা পান দুজনেই। এরপর দুজনই ছুটেন শতকের পেছনে কিন্তু সেটি আর হলো না। সাকিবকে বোল্ড করে ইমরান তাহির ফেরান ৭৫ রানের মাথায়।
এরপর মোহাম্মদ মিঠুন খানিক আশা জাগিয়েও থামেন ২১ বলে ২১ রান করে ইমরান তাহিরের বলে।
সাকিবের ফেরার পর শতকের আশা জেগেছিল মুশফিকের ব্যাটে। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হোন ফিলহুকওয়েওর বলে মারতে গিয়ে। ৮০ বলে ৭৮ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। সাকিব-মুশফিক জুটি থেকে আসে ১৪২ রান।
মুশফিক যখন সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশের দলীয় রান ৪২ ওভার ১ বলে ৫ উইকেটে ২৫০।
শেষ ৬ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের রান আসে ৮০! কাজটা ঠাণ্ডা মাথায় সামলান মাহমুদুল্লাহ আর মোসাদ্দেক। শেষদিকে যোগ হোন মেহেদী মিরাজ। মাহমুদুল্লাহ-মোসাদ্দেকের জুটি থেকে আসে ৪১ বলে ৬৬ রান। মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে। তাতে ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩০ রান ৬ উইকেটে।
যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যাণ্ডের বিপক্ষে ৩২২ রান করে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন অ্যান্ডিল ফিলহুকওয়েও, ক্রিস মরি ও ইমরান তাহির।
দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ১০৪ রানে। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড তাদের লক্ষ্য দিয়েছিল ৩১১ রান।