উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতা করা এই মার্চের উদ্দেশ্য নয়, যদিও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ‘অনুঘটকের’ কাজ করেছে। ওয়াশিংটন ডিসির মিছিলে ক্যালিফোর্নিয়া একাডেমি অফ সায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক জনাথন ফলি বলেন, বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে অযৌক্তিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে এবং রাজনীতিবিদরা গবেষণাকর্মকে যেভাবে আঘাত করছেন তা ‘নির্যাতনের সমতুল্য’।
‘আমাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং পরিবেশবিষয়ক বিজ্ঞানকে তারা সুনির্দিষ্টভাবে টার্গেট করছে। যে বিজ্ঞান আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান বিষয়গুলোকে সুরক্ষা করে’। এর ফলে ‘কিছু মানুষ হয়তো দুর্ভোগে পড়বে, কিছু মানুষ মারা যাবে’, বলেন ড. ফলি।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় আয়োজকদের ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজে মি. ট্রাম্প আসার পর থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে অংশ নিতে মানুষকে তারা উদ্বুদ্ধ করছে। অতীতে মি. ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি ভাঁওতাবাজি হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন। তার এই দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ মানুষদের কেউ কেউ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত তথ্যের বিষয়েও সন্দিহান হয়ে পড়ছেন।
মার্চ ফর সায়েন্সের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে বিজ্ঞানী এবং তাদের গবেষণাকর্মকে সাধারণ মানুষের আরো কাছে নিয়ে আসা। আয়োজকরা মনে করেন, সাধারণ মানুষদের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করাটা বিজ্ঞানীদের জন্য কঠিন হতে পারে এবং তারা এই মার্চ থেকে বিজ্ঞানীদেরও রাজনীতিতে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন, যাতে তাদের কথা তারা কার্যকরভাবে তুলে ধরতে পারেন।