করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বজুড়ে চলছে অন্যরকম এক আতঙ্ক। দিনকে দিন এই মহামারী প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। সেই সাথে মৃত্যুও বরণ করছেন অনেকে। তবে সুস্থতার হার আশানোরূপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য রাখা, জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ১১ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৯৮ জনের। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৩৮১ জন।
আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। আশার কথা হচ্ছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থতার হার দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দেয়নি মৃত্যুহার। প্রাণহানিও স্থিতিশীল রয়েছে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে বুধবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ লাখ ৪০ হাজার ৫১২ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৮ জন মানুষের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৬০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় বিবেচনায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫২ জনের।
বিশ্বে আক্রান্ত বিবেচনায় তৃতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় উঠে এসেছে পঞ্চম স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ৬৮ হাজার ৬৭৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৫ হাজার ২৫৭ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো, তবে আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ছয় নম্বরে। মেক্সিকোতে বুধবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৯২ হাজার ৫২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজার ৯২৯ জনের।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য মৃত্যু বিবেচনায় রয়েছে চতুর্থ স্থানে, তবে আক্রান্তের দিক থেকে দেশটির অবস্থান ১২তম। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার ৬১১ জনের।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৩৫০৩ জন, সেরে উঠেছে ১৫১৯৭২ জন ও মৃত্যু ৩৪৭১ জন।