নিজের খেয়ালে উড়ে বেড়ায়। তারপর হুট করে মরে যায়। আহা রে…এত কম সময় বাঁচে এরা। যতদিন থাকে ততদিনই তাদের ফুড়ফুড় করে উড়ে বেড়ানোর পালা।
বিশ্বের বিস্ময় এই নীল প্রজাপতি বা ওয়েস্টার্ন পিগমি ব্লু। কীট পতঙ্গ দুনিয়ায় ক্ষুদ্রতম আর চোখ ধাঁধানো প্রজাপতির জগতে সব চাইতে ছোট।
সৌদি আরব, বাহারিন, আরব আমির শাহি ও পারস্য উপসাগরের পটভূমি বরাবর থাকা দেশগুলিতে দেখা মেলে ওয়েস্টার্ন পিগমি ব্লু-দের। মরু হাওয়া আর পারস্য উপসাগরের নোনা হাওয়ায় এই ক্ষুদে প্রজাপতিদের অস্তিত্ব নিয়েই চলছে অনেক গবেষণা।
বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্ট বলছে- প্রজাপতির ফসিলে লুকিয়ে আছে প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছরের বেশি সময়ের কথা। কারণ এরা তারও পূর্বেও ছিল। তুষার যুগের মতো কঠিন ভয়ংকর সময় পার করেও টিকে রয়েছে আজকের পরিবেশে।
এখানেই চমক, কী করে প্রজাপতির মতো নরম প্রাণী সেই তুষার যুগের মোকাবিলা করেছিল, তাই জানার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে উঠে আসছে পিগমি প্রজাপতির লড়াইয়ের কথা। তারাও তো টিকেছিল।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত ২-৪ সপ্তাহ বাঁচে প্রজাপতি। আর সবচেয়ে ছোট নীল প্রজাপতিদের আয়ু মাত্র কয়েকদিন।
কেন এরা এত কম আয়ু পায় ? কী করে তারা দূর্বল হয়েও ভয়ঙ্কর তুষার যুগ ও উপসাগরীয় গরমকে সামলাতে পারছে ? এই পিগমি প্রজাপতি সম্পর্কে বেড়েই চলেছে কৌতূহল ।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, প্রজাপতি গোত্রের সবচেয়ে ছোট এই নীল পিগমি প্রজাপতি। পারস্য উপসাগর ছাড়াও এদের পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকা, হাওয়াই দ্বীপে।
বাদামী রঙের মাঝে হালকা নীল রঙের পাখা থাকায় এরা নীল প্রজাপতি নামে পরিচিত। মাত্র ১২ মিলিমিটারের মতো হয়ে থাকে তাদের পাখনা।
প্রজাপতি নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মিথ প্রচলিত। গ্রিকরা বিশ্বাস করে, প্রতিটি মথ থেকে প্রজাপতি বের হয়ে আসা মানে মানুষের আত্মার জন্ম হওয়া।
জাপানিরা বিশ্বাস করে যার গৃহে প্রজাপতি প্রবেশ করে সে হয় সৌভাগ্য়বান। চিনারা বিশ্বাস করেন, একজোড়া প্রজাপতি এক সাথে উড়ে যাওয়া ভালোবাসার প্রতীক।