পাহাড় আর সাগরের অপূর্ব মিতালীর ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক’ এখন বিশ্বের দীর্ঘতম ও একমাত্র সমুদ্র সড়ক। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর এটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর চার বার তিনি কক্সবাজার এসেছেন। পঞ্চমবারের এ সফরে শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, কক্সবাজার বিমানবন্দরে বোয়িং বিমান চলাচল এবং পাঁচটি ভবন উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। আরো নয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। কক্সবাজার বিমানবন্দরে চলাচল করবে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ। এর আগে কখনো এ বিমানবন্দরে বোয়িং ওঠানামা করেনি।
বিকেলে সাগর পাড়ের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সফর সূচি থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সকাল নয়টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়েতে ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমান চলাচল উদ্বোধন করবেন। এজন্য রানওয়ের সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে সকাল ১০টায় ইনানী বিচের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বেলা ১১টায় ইনানীতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বাস্তবায়িত (সম্প্রতি সমাপ্ত) কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করবেন। প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম মেহেদী হাসান জানান, এটি বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ (সাগরপাড়ের সড়ক), যেটির দৈর্ঘ্য ৮০ কিলোমিটার।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) এলজিইডি অংশের আওতায় কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলাধীন বাকখালী নদীর উপর খুরুস্কুল ঘাটে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পিসি বক্সগার্ডার ব্রিজ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কক্সবাজার আইটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এক্সিলাটে এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক নির্মিতব্য মহেশখালী ভাসমান টার্মিনাল, সামিট এলএনজি টার্মিনাল কো. (প্রা.) লি. কর্তৃক নির্মিতব্য মহেশখালীতে দ্বিতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালী উপজেলায় এসপিএম (ইনস্টলেশন অব সিংগেল পয়েন্ট মুরিং) প্রকল্প, নাফ ট্যুরিজম পার্ক, কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
একই দিন বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে আকাশ পথে কক্সবাজার ছাড়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।