ডিএমপি নিউজ: ফাইজার উৎপাদন খরচে বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশকে তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৪ কোটি ডোজ দেবে-শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) এমন ঘোষণা দিয়েছে এ জায়ান্ট ওষুধ কোম্পানি। এদিকে বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স সুবিধা সরবরাহের কাজ ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলছে।
খবরে বলা হয়, বিশ্বের অনেক ধনী দেশ এ মহামারি ভাইরাসের লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে তাদের দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করলেও বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো করোনাভাইরাস টিকা কর্মসূচি শুরু করা থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
স্বল্প আয়ের দেশগুলোর এসব ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ন্যায্য বিতরণ প্রচেষ্টা চালানো কোভ্যাক্স আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের প্রথম চালান পাঠানোর আশা করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গভির সহযোগি হচ্ছে কোভ্যাক্স। এখন পর্যন্ত জরুরি ব্যবহারে ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন হচ্ছে অন্যতম। ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে ফাইজারের চেয়ারমেন আলবার্ট বউর্লা বলেন, বিশ্বের অবশিষ্ট হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর একইভাবে ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উৎপাদন খরচের ভিত্তিতে এসব দেশের জন্য কোভ্যাক্সকে ভ্যাকসিন দেবো।’ ‘আমরা টিকা সরবরাহ করার এই সুযোগ পেয়ে গর্বিত। আর এই ভ্যাকসিনগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চরম ঝুঁকির মুখে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনসাধারণকে টিকা দেয়ার ব্যাপারে কোভ্যাক্সের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।
এদিকে গভির প্রধান নির্বাহী সাথ বার্কলি জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের তৈরি প্রায় ১৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সকে দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ভ্যাকসিনটি জরুরি ব্যবহারে ডব্লিউএইচও’র অনুমোদনের বিষয়টি মুলতবি রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এ অনুমোদনের কাজ শেষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে এসব ভ্যাকসিন কোভ্যাক্স সরবরাহ করতে পারবে। খবর: এএফপি।