ডিএমপি নিউজঃ বিশ্বে বায়ু দূষণে কিছুদিন আগেও ঢাকার অবস্থান ছিল সবার শীর্ষে। বর্তমানে ঢাকা শীর্ষস্থান থেকে সরে নবম স্থানে অবস্থান করছে। শীর্ষস্থানটি দখল করে নিয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের প্রতিবেদন এমন তথ্য নিশ্চিত করছে।
এয়ার কোয়ালিটি এন্ড পলুশন সিটি র্যাংকিংয়ে সংস্থাটি প্রকাশ করেছে, ১৫১ ইউএস একিউআই নিয়ে শীর্ষে চীনের বেইজিং, ১২৩ ইউএস একিউআই নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে মায়ানমারের রাজধানী ইয়াংগন, ১১৫ নিয়ে তৃতীয় পাকিস্তানের লাহোর, ১০৫ নিয়ে চতুর্থ বুলগেরিয়ার সোফিয়া, ১০৪ নিয়ে ভারতের মুম্বাই, পর্যায়ক্রমে ১০৪ নিয়ে ৬ষ্ঠ চিংমাই থাইল্যান্ড, সপ্তম ব্যাংকক থাইল্যান্ড পয়েন্ট ১০০, ৯২ নিয়ে অষ্টম ফোনামপেন কম্বোডিয়া, ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে ঢাকা বাংলাদেশ এবং একই পয়েন্ট নিয়ে ১০ স্থানে রয়েছে মেক্সিকো সিটি মেক্সিকো।
করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে রাজধানীতে যান চলাচল ও নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। শিল্পকারখানায় চলছে ছুটি। এ কারণেই বাতাসের দূষণ অনেক কমে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকার বাতাসের দূষণের প্রধান কারণ চারটি উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, যানবাহন, বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজ, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং ইটভাটা।এই চারটি কারণে প্রধানত ঢাকা শহরের বাষুতে দূষণের মাত্রাটা বেশি থাকে। চলমান সাধারণ ছুটিতে ঢাকায় সাধারণ জীবনযাত্রা নেই বললেই চলে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বায়ুর মানে। ঢাকা আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেলে হয়তো বৈশ্বিক হিসাবে এ শহরের বায়ুর মান আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।
বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান প্রয়োগের পাশাপাশি নাগরিকরা সচেতন ও আন্তরিক হলে অপেক্ষাকৃত মানসম্মত বায়ু নগরবাসীর পক্ষে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
তবে এয়ার ভিজ্যুয়ালের একিউএয়ারের লাইভ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে বায়ু দূষণের মাত্রা হিসেবে সিটি র্যাংকিং পরিবর্তনশীল।
লাইভ বাষু দূষণের মাত্রা দেখুন এখানে….