আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের নেতৃত্ব দেবেন ম্যালপাস। বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদের সদস্যরা শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে মেনে নেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগত ম্যালপাস ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
ট্রাম্প গত ফেব্রয়ারিতে ম্যালপাসকে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের ঘোষণা দিলে বিতর্কের জন্ম হয়।বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফের সমালোচনা করে আসা এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ বিশ্ব ব্যাংকের ভূমিকা খর্ব করতে পারেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেকে।
বিশ্ব ব্যাংক ‘অনেক বড়’ বলে মনে করেন ডেভিড ম্যালপাস। চীনের মতো মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে কম ঋণ দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এই দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী বলে যুক্তি দেন ম্যালপাস।
বিবিসি বলছে, অর্থনীতির ‘গ্লোবাল অর্ডারকেই’ চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ম্যালপাস।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “বহুপাক্ষিকতা প্রকৃত অর্থে অনেক বিস্তৃত হয়েছে-এই জায়গা থেকে তা যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করছে।”
এখানেই শেষ নয় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম যখন বিশ্ব ব্যাংকের অংশীদারদের কাছে তহবিল যোগানের আহ্বান জানিয়েছিলেন, সে সময় ব্যাংকে সংস্কারের বিনিময়ে তার বন্দোবস্ত করতে এগিয়ে আসেন ডেভিড ম্যালপাস।
২০১২ সাল থেকে বিশ্ব ব্যাংকের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন জিম ইয়ং কিম। ২০১৭ সালে ৫৯ বছরের জিম দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন, ২০২২ সাল তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন বছর আগেই গত ৭ জানুয়ারি কিম আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন, যা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
এরপর থেকে বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।