একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই দশকে সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ব্যাপক বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো তৎপর হয়ে ওঠার বিষয়টি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠিগুলোর ওই হুমকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন কংগ্রেসে হামলার ঘটনা প্রমাণ করেছে যে পশ্চিমা বিশ্বের অভ্যন্তরে নতুন ডানপন্থি সন্ত্রাসী দল গড়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে উগ্র নব্য-নাৎসিবাদও বিস্তার লাভ করছে।
এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসবাদকে তার দেশ ও বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে অভিহিত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রুশ ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধানের সাথে বৈঠককালে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
পুতিন বলেন, “সন্ত্রাসবাদই বিশ্বের একমাত্র এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক হুমকি”। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার জন্য স্থায়ী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সিরিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাসহ সকল ফ্রন্টেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রয়েছে বলে পুতিন মন্তব্য করেন।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর পুতিনের গুরুত্বারোপের বিষয়টি নিঃসন্দেহে বিবেচনার দাবি রাখে। বিশেষ করে সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদের নজিরবিহীন বিস্তারের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে তার বিপর্যয়কর পরিণতির ভয়াবহতাই ফুটিয়ে তোলে। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই বিশেষ করে উত্তর ককেশাসে উগ্রপন্থীদের মোকাবেলা করে যাচ্ছে।
উগ্রপন্থীরা রাশিয়ায় একাধিক সন্ত্রাসী অভিযান চালিয়েছে। পুতিনের মতে ২০২০ সালে রাশিয়ায় অন্তত ৭২টি সন্ত্রাসী ঘটনা প্রতিহত করা হয়েছে। তার মানে ২০১৯ সালের তুলনায় শতকরা পঁচিশ ভাগেরও বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে সাতান্নটি সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি অঙ্কুরেই প্রতিহত করা হয়েছে।
পুতিন এই ক্রমবর্ধমান হুমকিকে খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তাকে সুসংহত ও ব্যাপকভাবে মোকাবেলা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পুতিন বারবার এই ইস্যুটির বিপদ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছেন এবং দেশগুলিকে এই হুমকি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়েছেন।
পুতিন বলেন, সন্ত্রাসবাদ বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির একটি হল পশ্চিমা বিশেষ করে আমেরিকার দ্বিমুখি অবস্থান।