পরমাণু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় বহুদূর এগিয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে দেশটি। এরপর বিরোধ মেটাতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে অনেক বিশ্লেষকই বলছেন আলোচনা যাই হোক না কেন, উত্তর কোরিয়া পরমাণু প্রকল্প ত্যাগ করবে না। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বেইজিং গিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
শিনহুয়া জানায়, কিম চীনের নেতা শি জিন পিং এর সঙ্গে ‘সফল আলোচনা’ করেছেন। এ সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, কারণ একে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিমের সঙ্গে বৈঠক করার অভূতপূর্ব প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
বিশ্লেষকরা আগেই ধারণা করেছিলেন, ওই বৈঠকের আগে চীন ও উত্তর কোরিয়া নিজেরা বৈঠক করবে। শিনহুয়া জানায়, কিম চীনের নেতাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি পারমাণবিকীকরণ বন্ধে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। উত্তর কোরিয়া বিরোধী বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘটনা যাই হোক না কেন, উত্তর কোরিয়া কোনোমতেই পরমাণু বোমার প্রযুক্তি উন্নয়ন থামাবে না। এর কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়কে সামনে এনেছেন তারা।
প্রথমত উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় কোনো আগ্রহ নেই। বরঞ্চ তারা পরমাণু বোমাকে তাদের জাতিগত অহংকারের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছে। শীঘ্রই মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন, এমন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে। পরমাণু বোমার ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।
পরমাণু অস্ত্রের জোরে উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও হুমকি দিতে পারছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালানোর চিন্তা বাদ দিয়েছে। কারণ উত্তর কোরিয়া যদি পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু হামলা চালায় তাহলে তা মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে।
উত্তর কোরিয়ায় গণতন্ত্র না থাকলেও জনগণকে একটা নির্দিষ্ট পথ দেখিয়ে আসছেন কিম ও তার পূর্বসূরিরা। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই পরমাণু অস্ত্রের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সময় ব্যয় করেছে। ফলে বাস্তবে তারা এ থেকে পেছনে আসবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।