বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মোট ১০জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ১। বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ অনিক সরকার(২২), ২। বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইফতি মোশাররফ সকাল(২১), ৩। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মেহেদী হাসান রবিন(২২), ৪। নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মেফতাহুল ইসলাম জিওন(২২), ৫। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির আলম জেমি(২১), ৬। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির(২১), ৭। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ(২১), ৮। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাসেল(২৪), ৯। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহতাসিম ফুয়াদ(২৩) ও ১০। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না(২১) ।
উল্লেখ্য রোববার (৬ অক্টোবর, ২০১৯) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহতের বাবা মোঃ বরকত উল্লাহ ১৯জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে অভিযুক্ত করে চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলার প্রেক্ষিতে আজ দিনভর অভিযান পরিচালনা করে ১০ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
নিহত আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়।