ডিএমপি নিউজ রিপোর্ট: রাজধানীর শ্যামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সাড়ে ৬ একর অবৈধ জমি দখলমুক্ত করে শিশুদের বিনোদনের একটি শিশু পার্ক চালু করেছে অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। নদীর তীরভূমির অবৈধ দখলরোধ, পরিবেশের উন্নয়ন ও বিনোদনের লক্ষ্যে ঢাকা শহরের চারপাশে আরো চারটি ‘ইকোপার্ক’ স্থাপন করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শ্যামপুরে লঞ্চঘাটের সাথে স্থাপিত এই শিশু পার্কটি উদ্বোধন করেন নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এ্যাডভোকেট বেগম সানজিদা খানম এবং মেসার্স নেপচুন এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড এমিউজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পার্কটি পাঁচ বছরের জন্য পরিচালনার জন্য নেপচুন এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড এমিউজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড ইজারা দেয়া হয়েছে। পার্কটিতে শিশুদের বিনোদনের জন্য ২৪টি রাইডস্ স্থাপন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ লাইসেন্স ফি বাবদ প্রায় ২৮ লাখ টাকা এবং প্রবেশ টিকেট বাবদ সমপরিমান অর্থ আয় করবে। পার্কের প্রবেশ ফি ৩০ টাকা। প্রতিটি রাইডস্ এর জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পার্কটি খোলা থাকবে ।
এর আগে পার্ক প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, নদীর তীরভূমির অবৈধ দখলমুক্ত পরিবেশের উন্নয়ন ও বিনোদনের লক্ষ্যে ঢাকা শহরের চারপাশে আরো চারটি ‘ইকোপার্ক’ স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে আগামী ১৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে আরও একটি শিশু পার্ক উদ্বোধন করা হবে। এই পার্কে শিশুদের পাশাপাশি বড়দের জন্য রয়েছে শরীর চর্চা ও বিনোদন।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা জেলার শ্যামপুর কদমতলী থানার কদমতলী মৌজায় ঢাকা নদী বন্দর সীমানায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমিতে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ অবৈধভাবে দখল করে ইট, বালু ও পাথর ব্যবসা করে আসছিলেন। এর ফলে উক্ত এলাকার পরিবেশ দূষণসহ ধীরে ধীরে নদী সংকুচিত হতে থাকে। নদী সংকুচিত এবং দখল দূষণ নিয়ে ঐ সকল ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ হতে কঠোর অবস্থান নেয়া হলে তারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে যা বিআইডব্লিউটিএ-কে মোকাবেলা করতে হয়।
ব্যাপক প্রচেষ্টার পর মামলার প্রতিবন্ধকতা দূরীভূত হলে বিগত ২০১১ সনে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করে ৬ দশমিক ৬৮৪ এর জায়গা জুড়ে “বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক” নামে একটি পার্ক গড়ে তোলে। উক্ত পার্কের কার্যক্রম শুরুর জন্য সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫০০ বৃক্ষ ও বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ রোপনসহ ইন্টারনাল পাকা রাস্তা, ওপেন ইয়ার্ড কংক্রিট বেঞ্চ এম এস ছাতা ইত্যাদি নির্মাণ পূর্বক উন্নয়ন করা হয়।