বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে গত ৬ অক্টোবর, ২০১৯ পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আজ ১০ অক্টোবর, ২০১৯ পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ । এদের মধ্যে এজাহারনামীয় ১২ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ৪ জন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এজাহারনামীয় ১২ জন হলো- ১। মেহেদী হাসান রাসেল, ২। মোঃ অনিক সরকার, ৩। ইফতি মোশাররফ সকাল, ৪। মোঃ মেহেদী হাসান রবিন, ৫। মোঃ মেফতাহুল ইসলাম জিওন, ৬। মুনতাসির আলম জেমি, ৭। খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, ৮। মোঃ মুজাহিদুর রহমান, ৯। মুহতাসিম ফুয়াদ, ১০। মোঃ মনিরুজ্জামান মনির ১১। মোঃ আকাশ হোসেন ও ১২। হোসেন মোহাম্মদ তোহা।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এজাহার বহির্ভূত ৪ জন হলো-১। ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, ২। অমিত সাহা, ৩। মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ও ৪। শামসুল আরেফিন রাফাত।
আজ ১০ অক্টোবর, ২০১৯ আবরার হত্যাকান্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
এ সময় তিনি বলেন, বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহার দায়ের করার পূর্বেই ৭ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রত্যেকেই ৫ দিনের রিমান্ড এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়াও ৮ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরও ৫ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আজ (১০ অক্টোবর, ২০১৯) আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ঘটনার সাথে যারাই প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকুক প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। মামলাটি পেশাদারিত্ব ও সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে যদি কারও কাছে কোন তথ্য থাকে তবে আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৬ অক্টোবর, ২০১৯) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহতের বাবা মোঃ বরকত উল্লাহ ১৯জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে অভিযুক্ত করে চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। পরবর্তী সময়ে চকবাজার থানায় রুজুকৃত মামলাটির তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) তে হস্তান্তর করা হয়।