বৃষ্টি আইনে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ১৫৮ রানের টার্গেট দেয় আইরিশরা। জবাবে ১৪.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৫ রানে তুলে ইংল্যান্ড। এরপরই নামে বৃষ্টি। ম্যাচটি পুনরায় শুরু করা সম্ভব হয়নি, তাই বৃষ্টি আইন ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৫ রানে জয় পায় আইরিশরা।
বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় টস জিতে শুরুতে ব্যাট করেনি ইংল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৫৭ রানে গুটিয়েও দিয়েছিল ইংলিশরা। তবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জস বাটলারের দল। রানের খাতা খোলার আগেই বাটলারকে হারানো ইংল্যান্ডের ২৯ রানেই নেই তিন উইকেট।
এরপর থেকে তাদের ইনিংস এগোচ্ছিলো ধীরগতিতেই। হঠাৎ বৃষ্টি নামলো মেলবোর্নের মাঠ জুড়ে। মাঠ ছেড়ে উঠেন যেতে হলো ক্রিকেটারদের। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৪.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৫ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। নতুন করে ম্যাচ শুরু না হওয়ায় ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫ রানে ম্যাচ জিতে যায় আয়ারল্যান্ড। কেননা ডি-এল মেথডে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১১০ রান। এতে বিশ্বকাপের মঞ্চে ফের আইরিশদের কাছে হার মানে ইংল্যান্ড। এর আগে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৮ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন স্টার্লিং। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে আয়ারল্যান্ড। টেকারকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় জুটিতে ৮২ রানের চমৎকার জুটি উপহার দেন বালবির্নি। ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কার মারে ৩৪ রান করেন টাকার। এরপর ২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি হ্যারি টেক্টর।
তবুও উইকেটে থিতু ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক। তিনি ভালো ইনিংস খেলে দিয়ে ফিরলে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে আইরিশরা। ফলে অধিনায়কের বিদায়ের পর দ্রুতই থেমে যায় আয়ারল্যান্ড। মাঠ ছাড়ার আগে ৪৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলেন আইরিশ অধিনায়ক। এছাড়া কার্টিস ক্যাম্ফার ১৮, গ্যারেথ ডেলানি ১২* রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা। ডাক মেরেছেন তিনজন। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে তারা গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে।
ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ৪ ওভারে ৩৪ রানের খরচায় তিন উইকেট শিকার করেন মার্ক উডও। দুটি উইকেট স্যাম কারেনের।-সমকাল