প্রচন্ড গরমের পর এসেছিল স্বস্তির বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি এখন দূর্ভোগের কারন হবে দাড়িয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। শুক্রবারও এর রেশ থাকবে।
এদিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হবে। তবে কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। অবশ্য শনিবার থেকে বৃষ্টি খানিকটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি এবং বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরসমূহে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের নদীগুলোতে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঝড়ো হওয়া ও ভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকার রাস্তাগুলোতে পানি জমে রয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে রয়েছে। ছুটির দিন হলেও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, সাগরে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালার কারণে দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বিকেলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানেও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজধসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।