ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে অনেকেই একসঙ্গে অনেক কিছু কিনে রাখে। ফ্রিজে রাখাটাই এক্ষেত্রে সমাধানের পথ বলে মনে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় বিভিন্ন খাবার বিশেষ করে ফল দ্রুত পচে যায়। এছাড়াও নানা ধরনের সবজি, মাছ সেগুলোতেও ধরতে পারে পচন।
তবে ফলে পচন ধরার লক্ষণ দেখা দিলেই সেগুলো দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় জ্যাম, জেলি, সিরাপ, আপেল সস সহ অনেক কিছু। ঠিক এমনভাবে নতুন কিছু তৈরি করে ফেলা যায় সবজির ক্ষেত্রেও।
চলুন জেনে নিই বেঁচে যাওয়া খাবারের পচন রোধ করার এমন কিছু উপায়–
ফলের ক্ষেত্রে
কোনো কারণে অনেক বেশি ফল কাটা হয়ে গেলে সেগুলো দিয়ে কাস্টার্ড বা স্মুদি তৈরি করতে পারেন। অতিরিক্ত পাকা কলা যেন নষ্ট না হয় সেজন্য সেগুলো পাউরুটি, মাফিন ও স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।
সবজির ক্ষেত্রে
রান্না করা ব্রোকলি, বাঁধাকপি বা ফুলকপি খাওয়ার পর অতিরিক্ত কিছু রয়ে গেলে তা ওমলেট, স্যান্ডউইচ, পাস্তা ইত্যাদিতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া তাজা লেটুসের সঙ্গে এই তরকারীগুলো একটু অলিভ অয়েল ও ভিনেগার মিশিয়ে মজাদার সালাদ তৈরি করতে পারেন।
ব্রোকলির ডাঁটা, বিটরুট, গাজর, কুমড়া, বেগুন, টমেটোর খোসা ফেলে না দিয়ে এগুলো দিয়ে মজাদার স্টু কিন্তু তৈরি করা যায় বাচ্চাদের জন্য।
পাউরুটির ক্ষেত্রে
পাউরুটির অবশিষ্ট কিছু রয়ে গেলে সেগুলো স্যান্ডউইচ, মাংসের কাটলেট, পুডিং ইত্যাদিতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বিকালের নাস্তাতেও পাউরুটির সাথে ডিম, পনির, মাশরুম, মাখন ও ধনেপাতা মিশিয়ে মজাদার খাবার বানিয়ে ফেলতে পারেন।
বাদামের ক্ষেত্রে
বাদাম দীর্ঘদিন ঘরে রয়ে গেলে তার কুড়কুড়ে ভাব নষ্ট হয় আর সাথে নরম হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বাদাম টেলে গুঁড়ো করে স্যুপে ব্যবহার করতে পারেন।
ভাতের ক্ষেত্রে
রাতে ভাত রয়ে গেলে সকালে সেগুলোর সাথে মাংস, ডিম ও সবজি মিশিয়ে ফ্রাইড রাইস তৈরি করে ফেলতে পারেন।
পাস্তার ক্ষেত্রে
পাস্তা যদি রয়ে যায় তাহলে পরদিন এর সাথে প্রচুর পরিমাণে সবজি অথবা ডিম মিশিয়ে ভালোভাবে ভেজে পুনরায় স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন।
মাংসের ক্ষেত্রে
মাংস রয়ে গেলে পরদিন সকালে রুটির সাথে খেতে পারেন। আবার রসুন বাটা, অলিভ অয়েল ও টমেটো পেস্টের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে মজাদার সস তৈরি করে পাস্তার সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।
রান্না করা মাংস দিনের পর দিন ফ্রিজে না রেখে সবজি দিয়ে রান্না করে ফেলুন। ডিম বা অন্যান্য সবজি মিলিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে ফেলতে পারেন।
মাছের ক্ষেত্রে
রান্না করা মাছের টুকরো রয়ে গেলে তা থেকে কাঁটা ফেলে দিয়ে ফিশবল বা ফিশ কাটলেট বানিয়ে ফেলতে পারেন। বাচ্চাদের টিফিনের জন্য দারুণ মজার একটি খাবার এটি।