হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন ছাড়াও আরও অনেক কারণে গত ৪ বছরে ভারতে বিরূপ আবহাওয়া অন্তত ৪,৬২০ জন। বেশিরভাগ মানুষেরই মৃত্যু হয়েছে তাপপ্রবাহে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪,২৪৬। ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক এই ভয়াবহ তথ্য দিয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে খাম-খেয়ালী আবহাওয়ার বলি হয়েছেন প্রায় ১,৬০০ মানুষ। তাঁদের মধ্যে তাপপ্রবাহে মৃত্যু হয়েছে ৫৫৭ জনের। ২০১৫ সালে আবহাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছিল ২,০৮১ জনের। ২০১৪ সালে এই সংখ্যাটা ছিল অনেক কম। সে বছর আবহাওয়ার বলি হন ৫৪৯ জন। ২০১৩ সালে তাপপ্রবাহ কেড়ে নিয়েছিল ১,৪৪৩ জনের প্রাণ। অন্ধ্রপ্রদেশে ও তেলঙ্গানায় মৃত্যু হয়েছিল ১,৩৯৩ জনের।
গাঁধীনগরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ সংস্থার ডিরেক্টর দিলীপ মাভলাঙ্কার বলেছেন, ‘হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন ছাড়াও আরও অনেক কারণে মৃত্যু হয়। ফলে আবহাওয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে অনেক বেশি। ডিহাইড্রেশনের ফলে শ্বাসকষ্ট এবং রেনাল ফেলিওর হতে পারে।
যাঁদের হার্ট ও কিডনির সমস্যা আছে, তাঁরাই বেশি ডিহাইড্রেশনের শিকার হন। এর ফলে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যুর হার বেশি। এই মৃত্যু ঠেকানোর জন্য গত বছর থেকে আমরা ৪৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা হলেই লু-র সতর্কবার্তা দেওয়া শুরু করেছি।’
তাপপ্রবাহের ফলে মৃত্যু ঠেকানোর লক্ষ্যে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার এ বছর থেকে একযোগে কাজ শুরু করেছে। গত মাসে এক আলোচনাসভায় হাজির ছিলেন কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আধিকারিকরাও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন।
ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রাজীবন জানিয়েছেন, এ বছর তাপপ্রবাহের কারণে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খ-, পঞ্জাব, দিল্লি ও হরিয়ানার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আমদাবাদে যেভাবে তাপপ্রবাহে মৃত্যু ঠেকানোর জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে, বাকি রাজ্যগুলিকেও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।