ডিএমপি নিউজঃ ৪ আগস্ট (মঙ্গলবার) বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণে বৈরুতে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হওয়া মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মসজিদ ও গির্জা মেরামত করবে তুরস্ক।
বৈরুতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হাকান শাকাল বিধ্বস্ত মুহাম্মাদ আমিন মসজিদ ও সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রাল পরিদর্শন করে বলেন, ‘তুরস্কের সরকার লেবাননের মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মের নেতাদের বিধ্বস্ত মসজিদ ও গির্জা পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণে মসজিদ ও গির্জার স্থাপনাটি মারাত্মকভাবে বিধ্বস্ত হয়। ঐতিহাসিক স্থাপনা দুটির গুরুত্ব বিবেচনায় পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তুরস্ক।
উল্লেখ্য, ১৮১৯ সালে মসজিদটি শায়খ মুহাম্মাদ আবু নাসরের খানকা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মাননা হিসেবে তাঁকে অটোমান সুলতান আবদুল মাজিদ এক খণ্ড জমি প্রদান করেন। পরে শায়খ খানকাটি ছোট্ট মসজিদে রূপান্তর করে রাসুল (সা.)-এর নামানুসারে ‘মুহাম্মাদ আল আমিন’ নাম দেন। ২০০২ সালে মসজিদটিকে অত্যাধুনিকভাবে নির্মাণ করা হয়। মসজিদের হলুদ পাথর, নীলাভ গম্বুজ, সুউচ্চ মিনার ও অনন্য স্থাপত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
১৮৮৪ সালে সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রালটি বিশপ ইউসুফ আল দাবস নির্মাণ করেন। ১৮৯৪ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। বৈরুতের মধ্যভাগে মুহাম্মাদ আমিন মসজিদের পাশেই ক্যাথেড্রালটি অবস্থিত।
লেবাননে ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন বৈরুতের শহীদ প্রাঙ্গণের পাশে অবস্থিত মুহাম্মাদ আমিন মসজিদ ও সেন্ট জর্জের মেরোনাইট ক্যাথেড্রাল। মুসলিম ও খ্রিস্টানদের প্রার্থনাস্থলের পাশাপাশি অবস্থান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তৈরি করেছে সম্প্রীতিবোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ হয়েও বৈরুতের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে স্থাপনাগুলো।
বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় ১৭৭ জন নিহত এবং ছয় হাজারের বেশি আহত হয়। তা ছাড়া অনেকে নিখোঁজ আছে। লেবানন নিরাপত্তা বাহিনীর বর্ণনা মতে, তিন হাজার ৯৭২টি স্থাপনা এবং চার হাজার ২১৪টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউনেসকোর তথ্য মতে, বিস্ফোরণে ৬৪০টি ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ৬০টির বেশি ধ্বংস হয়। সূত্র : আলজাজিরা নেট।