জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থদের মাছ বিতরণ ও দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে ব্যতিক্রমী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন শুরু করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম নির্দেশনায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উদ্যোগে রাজধানীতে এ সকল কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর মধ্যে মঙ্গলবার মৎস্য অধিদপ্তর রাজধানীর টিটিপাড়ায় বস্তিবাসীদের মাঝে ও পূর্ব বাসাবোতে এতিমখানায় বিনামূল্যে ইলিশ মাছ বিতরণ করা হয়। একইদিন বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ এতিমখানায় ২৬০ জন এতিম ছাত্র-ছাত্রীদের ২০০ লিটার দুধ খাওয়ানো হয় এবং তাদের উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এর পূর্বে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খামার বাড়ির বঙ্গবন্ধু চত্বরে রিকশা চালকদের মাঝে মুজিববর্ষের লোগো সম্বলিত ৫০০টি টি-শার্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ঢাকার বিভিন্ন এতিমখানায় বিনামূল্যে ৪০০ কেজি মাছ বিতরণ করা হয়।
এর আগে সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদারসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিই নয়, বরং সারা বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির কন্ঠস্বর। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরস্তর কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা। এর মধ্যে অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থদের মাছ বিতরণ ও দুধ খাওয়ানো অন্যতম।