ডিএমপি নিউজঃ ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও নাগরিকদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে শেষ হলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ ২০১৯। “আপনার তথ্য থানায় জমা দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করুন, নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদে রাখুন, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং অপরাধের হুমকি থেকে এই মহানগরীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখুন” এই উপজীব্যকে সামনে রেখে চলে এই নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ ২০১৯।
নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু হয়। ডিএমপি’র ৫০টি থানার ৩০২টি বিট থেকে একযোগে চলমান ছিল নাগরিক তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ কার্যক্রম। ১৫ থেকে ২৩ জুন প্রতিটি থানার বিটে বিট অফিসার ঐ এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি পুলিশের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে এলাকার প্রতিটি বাড়ি যাচাই করে দেখেন কোন নাগরিক তথ্য প্রদানে বাদ পড়েছে কি না। কেউ বাদ পড়লে তাকে তথ্য ফরম দিয়ে সেই ফরমে তথ্য পুরণ করে ফেরত নেয় দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
এছাড়াও নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র প্রতিটি থানা নিজ নিজ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলেট, ব্যানার, পথসভা, উঠান-বৈঠক, মতবিনিময় সভাসহ নানাবিধ কার্যক্রম করেছে। এতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। ফলে এই সময়টা যারা নিজেদের তথ্য থানায় জমা দেননি তারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে থানায় তাদের সঠিক তথ্য ও হালনাগাদ তথ্য জমা দিয়েছেন। যা এই সপ্তাহের সফলতার বহিঃপ্রকাশ।
পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে ২৪ জুন থেকে পরবর্তী ৭ দিন ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে গঠিত সার্ভিলেন্স টিম র্যামডম সিলেকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে যাচাই করে দেখবেন থানায় তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে কি না। এসময় কেউ বাদ গেলে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে (CIMS) সফটওয়ারে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। যাতে কোন নাগরিক থানায় তথ্য জমা দিতে বাদ না যায়।
উল্লেখ্য, নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১৫ জুন থেকে শুরু হয়ে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ চলে ২১ জুন পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে ২ দিন বর্ধিত করে ২৩ জুন পর্যন্ত করেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।