বিগত ২০ বছরের মধ্যে ব্রাজিলে প্রথম দেশব্যাপী সরকারবিরোধী ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ধর্মঘটের পর সহিংসতায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিবিসি সূত্রে জানা যায় ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভ হয়েছে ।
বিক্ষোভকারীরা রিও ডি জেনিরো শহরের কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি বাস ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে অন্তত আটটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করে দিলে শহরটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। বেশকিছু দোকানেও হামলা চালানো হয়।
সরকারের পেনশন ব্যবস্থা সংস্কারের বিরুদ্ধে শুক্রবার শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দফতর বন্ধ ছিল।
ব্রাজিলের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের সম্প্রতি পেনশন কার্যক্রম সংস্কারের উদ্যোগ নেন। মিশেল একে ‘আধুনিকতার উদ্যোগ’ বলে দাবি করেন। আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।
তবে শ্রমজীবীরা মনে করছে, সরকার পেনশন ব্যবস্থায় যে সংস্কার করতে যাচ্ছে, এর বলে তাদের ভবিষ্যৎ অনুশ্চিত হয়ে পড়বে। পেনশনে চিকিৎসাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সুযোগ করে আসবে।
ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাউলোতে প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ বেশকিছু টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে শ্রম আইন সংস্কারের জন্য তেমের পার্লামেন্টে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পার্লামেন্টে তার ডানপন্থী দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ওই প্রস্তাব সহজেই পাস হয়।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া বামপন্থী প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফের অভিশংসনের পর ক্ষমতায় আসেন তেমের।
তবে রৌসেফ সব সময় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিনেটের শুনানিতে তিনি দাবি করেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনও ন্যায্যতা নেই। অভিশংসন প্রক্রিয়াকে তিনি ‘সংসদীয় ক্যু’ বলেও অভিহিত করেন।