ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, ব্রেক্সিট রূপান্তর প্রক্রিয়া ২০২২ সালের মধ্যে অবশ্যই শেষ হতে হবে। সে হিসাবে এটি পরবর্তী নির্বাচনের আগেই হতে হবে। তিনি বলেন, ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে আসলেও সবকিছুই স্বাভাবিক ধারায় চলবে। ব্রিটেনবাসীদের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য,মানুষের জীবনযাত্রা সেই আগের মতোই চলবে। শুক্রবার রেডিও-৪ এর কাছে তিনি এ কথা বলেন।
ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ অর্থাৎ ব্রেক্সিটের পর সব কিছু আগের মতোই থাকবে। তবে এ সময়ের পর ব্রিটেন ইইউ’র সঙ্গে নতুন এক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হবে। ইইউ থেকে ব্রিটেনকে প্রস্থানের পর তাদেরকে পরবর্তী অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে এ সময়ের দরকার হবে। ইউরোপীয় কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা এ প্রস্থানের বিষয়ে নির্দিষ্ট আলোচনার পথে রয়েছি। একবার এটা হয়ে গেলে সবার সন্তুষ্টি ফিরে আসবে। এরপরই আমরা পরবর্তী ধাপে যেতে পারবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া চলবে ২০২২ সালের জুনের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই ব্রেক্সিট কার্যকরের বিষয়ে ব্যাপক ঐকমত্য রয়েছে। তবে ইইউভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ব্রিটেনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এর আগে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউ’র দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু হয়। এ পর্বের আলোচনায় ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিক এবং ইউরোপে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিকদের অনিশ্চয়তা দূর করার বিষয়টিই প্রধান অগ্রাধিকার পায়।
সেসময়ে ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স বলেছেন, ইইউ থেকে বের হয়ে আসার প্রক্রিয়া অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শেষ করতে হবে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, ব্রেক্সিট এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে।