ডিএমপি নিউজঃ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিম উদ্দিন হত্যার পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (বহিষ্কৃত) জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
১৮ আগস্ট, ২০২০ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন ।
আলোচিত এ হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত ১২ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল পরিকল্পনাকারী সহ ০৫ জন অভিযুক্তের নাম ঠিকানা যাচাই করে তাদের পলাতক হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর ০৩ জন অভিযুক্তের (সেলিম, জনি ও হাসান) শুধুমাত্র সাংগঠনিক নাম জানা যায়, পূর্নাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের অভিযুক্ত করা যায়নি। ঘটনায় জড়িত অব্যহতিপ্রাপ্ত আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ কিংবা গ্রেফতার করা সম্ভব হইলে সম্পূরক অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হবে মর্মে সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়।
বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত অভিযোগপত্রে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা হলো- ১। মোঃ রশিদুন নবী ভূইয়া (২৬), ২। মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫), ৩। মোঃ আরাফাত রহমান(২৪) ও ৪। শেখ আবদুল্লাহ (২৭)।
বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত অভিযোগপত্রে পলাতক অভিযুক্তরা হলো- ৫। সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর), ৬। ওয়ালি উল্লাহ ওরফে ওলি, ৭। সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কণিক, ৮। মাওলানা জুনেদ আহমেদ ওরফে জুনায়েদ ও ৯। আকরাম হোসেন।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, ‘ব্লগে লেখালেখি করার কারণে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা নাজিম উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা ও সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার পরিকল্পনায় নাজিম উদ্দিনকে হত্যা করা হয়।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, আসামী মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন এর নেতৃত্বে একটি টিম নাজিম উদ্দিন কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার অবস্থান রেকি করে। মোঃ শেখ আব্দুল্লাহ এ হত্যার ভিডিও ধারনের জন্য এবং হত্যাকারীদের হত্যাকান্ড সংঘটেনর পর পালাতে সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকে। হত্যা কান্ড সংঘটিত হওয়ার পর Protected Text আইডি তে মেজর জিয়াকে(চাকুরিচ্যুত মেজর) জানায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিম উদ্দিন সামাদ ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে ৫/৬ জন দুবৃত্ত তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে । এই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর পর প্রথমে থানা পুলিশ এবং পরে মামলাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনায় জড়িত আসামীরা সকলেই নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর সদস্য হওয়ায় মামলাটির অভিযোগ পত্র সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দাখিল করা হয়েছে।