ডিএমপি নিউজঃ আজ ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে এ দিবস। বিশ্বব্যাপী পালিত আন্তর্জাতিক একটি প্লাটফর্মে সৌহার্দ্য, সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ আকাশনীল পতাকা তলে একত্রিত হতে পারা যে কোন জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের।
আজকের দিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল পুরুষ ও নারীকে এবং শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মাহুতি দান কারীদের গভীর কৃতজ্ঞতা ও যথোচিত সম্মানপূর্বক স্মরণ করা হয়।
১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তি মিশনে যোগদানের মাধ্যমে এই গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে বাংলাদেশ। এক বছর পর ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে। তিন দশকে ‘ব্লু ব্যারেট’ পড়ে বিশ্বের মোট ৪০টি দেশে ৫৪টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে ১,৫৬,৩৭৭ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী। বর্তমানে বিশ্বের ১১টি দেশে ৭০৭৫ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছে। যার মধ্যে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সাহসী সদস্যরা। শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের শান্তির দূত হয়ে নেতৃত্বে দীর্ঘ ত্রিশ বছরে রয়েছে অনেক অর্জন, ত্যাগ ও প্রাপ্তি। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিন দশকে আত্মাহুতি দিয়েছে অনেক বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী। যার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১৫ জন, নৌ বাহিনীর ০৩জন, বিমান বাহিনীর ০৪ ও পুলিশ বাহিনীর ২০ জন শান্তিরক্ষী নিহত হন। সেই সাথে আহত হয়েছে সেনাবাহিনীর ২০৭জন, নৌ বাহিনীর ০১ জন, বিমান বাহিনীর ০৫ জন ও পুলিশ বাহিনীর ১০ জন সদস্য। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা তাদের ত্যাগপূর্ণ কাজের জন্য বিভিন্ন সময় জাতিসংঘ মেডেলে ভূষিত হয়েছেন।
‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আজকে বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’।